প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা বন্ধুরা, আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আপনি যদি ঢ় দিয়ে শব্দ গঠন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনাকে অনেকটা সাহায্য করতে পরবে। কারণ এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে ঢ় দিয়ে বিভিন্ন শব্দের গঠনের মাধ্যমে।
আর কিভাবে ঢ় দিয়ে শব্দ গঠন করতে হবে এবং এই সকল শব্দ গঠন নিয়ে বিশেষ কিছু উদাহরণে এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। তাই আপনি চাইলে সহজেই ঢ় দিয়ে গঠিত শব্দগুলো এখান থেকে পেতে পারেন।
সাধারণভাবে বলা যায় যে ঢ় বাংলা ভাষার বর্ণমালার মধ্যে অন্যতম একটি বর্ণ। ঢ় কে মূর্ধন্য বা পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণ বলা হয়। ঢ়- বর্ণে দ্যোতিত ধ্বনি জিহ্বার অগ্রভাগের তলদেশ দ্বারা অর্থাৎ উল্টো পিঠের দ্বারা উপরের দন্তমূলে দ্রুত আঘাত বা তড়না করে উচ্চারিত হয়। একে বলা হয় তাড়নজাত ধ্বনি। ঢ় এর উচ্চারণ ড় এবং হ এর দ্বারা দ্যোতিত ধ্বনিদ্বয়ের দ্রুত মিলিত ধ্বনি৷ যেমন গাঢ়, রাঢ়।
বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ রয়েছে ৫০ টি। তার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি। এই সকল বর্ণ গুলোর মধ্যে ঢ় একটি স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে বাংলা ভাষায় বা বর্ণমালা কাজ করে থাকে। বাংলা বর্ণমালায় বিভিন্ন শব্দ গঠন করার জন্য ঢ় বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বর্ণ দ্বারা বিভিন্ন রকমের শব্দ গঠন করা যায়। কিন্তু অনেকেই এই বর্ণটি দিয়ে শব্দ গঠন করার সময় পরিপূর্ণ শব্দগুলো খুঁজে পাই না। আর আজকে এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে এইরকমই কিছু শব্দ দিয়ে যাতে করে যে কেউ এই বর্ণটি দিয়ে শব্দ গঠন করতে পারে।
বাংলা ভাষায় বৈকারকগণ প্রথম থেকে সংস্কৃত নিয়ম অনুসারে ঢ় কে মূর্ধন্য ধ্বনি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছেন। কিন্তু বাংলায় কখনো এর উচ্চারণ মূর্ধা থেকে হয় নি। এটি উচ্চারণগত দিক থেকে দন্তমূলীয় এবং তাড়নজাত।
ঢ় এর উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা আগা সামান্য পরিমানে মোচড় খায়। কিন্তু এই মোচড় এতটায় ক্ষীণ যে তা বোঝার আগেই জিহ্বা তার অবস্থান পাল্টিয়ে ফেলে। এই ধ্বণির উচ্চারণে জিহ্বার ডগা বা অগ্রভাগের উপরের পিট উল্টো পাটি দাঁতের গোড়াকে স্পর্শ করতে না করতেই জিহ্বার ডগা নিচের পাটি দাঁতের উপর উছলে পড়ে। সম্পূর্ণ পক্রিয়া এত দ্রুত হয়, আর এজন্য একে তাড়নজাত ধ্বনি বলে।
ঢ় দিয়ে কিছু শব্দ গঠনের উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা ভালোভাবে বোঝা যাবে। তাই আপনাদের বোঝার সুবিধাথে নিচে বেশকিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। এগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই ঢ় দিয়ে গঠিত শব্দসমূহ পেয়ে যাবেন। চলুন কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক।
ঢ় দিয়ে গঠিত শব্দ
রাঢ়
আষাঢ়
গাঢ়
দৃঢ়
গূঢ়
রূঢ়
মূঢ়
বিমূঢ়
প্রৌঢ়
ঊঢ়
এই শব্দগুলো গঠন করার জন্য ঢ় ধ্বণিটি ব্যবহার করা হয়৷ এই ধ্বনিটির ব্যবহার করা ছাড়া কোনভাবেই উপরের শব্দগুলো গঠন করা সম্ভব না। তাই বাংলা বর্ণমালায় বিভিন্ন শব্দ লিখতে ঢ় বর্ণটি বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই পরিপূর্ণভাবে বাংলা বর্ণমালা জানতে হলে এবং বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে হলে অবশ্যই ঢ় বর্ণ দিয়ে গঠিত শব্দগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর এই সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের আজকের পোস্টটির মাধ্যমে। তাই আর দেরি না করে ঢ় বর্ন দিয়ে গঠিত শব্দসমূহ জেনে এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য আমাদের পোস্টটি ফলো করতে পারেন।
আর এই পোস্টটির উদাহরণগুলোর সাহায্যে আপনি ঢ় এর মাধ্যমে গঠিত শব্দসমূহ বিশদভাবে জানতে পারবেন। আশা করি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন। আর যদি এই পোস্টটি আপনার কাজে লাগে, তাহলেই আমাদের স্বার্থকতা।