রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই নামটি সঙ্গে আমরা ছোট বড় কমবেশি সবাই পরিচিত। বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য প্রতিভার নাম হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সারা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত এই কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য চেতনা থেকে জীবনদর্শন বহু যুগ ধরে বাঙালির জীবনকে প্রভাবিত করে আসছে। মূলত এমন কিছু বাঙালির জীবনে নেই যা রবি ঠাকুরের সাহিত্য দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। এই কবি সাহিত্যের স্নিগ্ধ ছায়ায় সমৃদ্ধ করেছে বাঙালির সংস্কৃতিকে। বাংলার সংস্কৃতিতে প্রাণ জুড়ে রয়েছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যিক সাফল্য তার মধ্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়াটা অন্যতম ছিলেন। আপনারা অনেকেই এই প্রসঙ্গে জানার জন্য বেশ আগ্রহী। আপনাদের এই আগ্রহের মাত্রা থেকে গুগলে বা ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় বারবার সার্চ করছেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান, তাই আপনাদের কথা ভেবে আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি পেতে হলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ অব্দি একটু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন তাহলে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন বাঙালি কবি,ছোট গল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার এবং চিত্রশিল্পী। তিনি নতুন গদ্য ও পদ্যের প্রবর্তন করেন এবং বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষা ব্যবহার করেন, সাধারণত বিশ শতকের প্রথম দিকে, ভারতের অসামান্য সৃজনশীল শিল্পী হিসেবে বিবেচিত হন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ছোট গল্পের জনক বলা হয়। কিশোর বয়স থেকেই তিনি ছোট গল্প লিখতে শরু করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররের প্রথম ছোট গল্পটি হচ্ছে ভিখারিণী। সঙ্গীতের জগৎতে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত জনপ্রিয় । রবীন্দ্র সঙ্গীত নামে নিজস্ব একটি ধারা তৈরী হয়েছে তার লেখা সঙ্গীত দিয়ে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গন মন তার লেখা। সেই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা ও তার লেখা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কলকাতার জোড়া সাঁকোর সম্ভ্রান্ত ঠাকুর পরিবারে ৭ মে ১৮৬১সালে ২৫ বৈশাখ ১২৬৮খ্রিস্টা ব্দে। তাঁর পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবী। পিতা মাতার ১৫ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্দশতম এবং অষ্টম পুত্র। শিশু রবীন্দ্রনাথ বেড়ে উঠেছেন নিতান্তই সহজ সরল ও সাদা সিদেভাবে। অভিভাবকদের নিরালস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেননি। স্থির করলেন মেজভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টার হবেন। তাঁর রাজকীয় জীবনযাপন দেখে ইংরেজরা তাঁকে প্রিন্স আখ্যা দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক পরিবেশও ছিল শিক্ষায় ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। কেবল লেখাপড়া নয়, সেকালের ঠাকুর পরিবারে সাহিত্য, শিল্প ও সংগীত চর্চার যে অনুকূল আবহাওয়া ছিল, রবীন্দ্রনাথ সেই আবহাওয়ার মধ্যেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠেছিলেন।

১৯১৩ সালে বিশ্বকবিকে বন্দিত করে নোবেল তুলে দেওয়া হয়। এশিয়ায় প্রথম কোন ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ জন্য এই অনন্য সম্মানে ভূষিত হন। মোট ১৫৭ টি গীতিকবিতা সংকলিত এই বই বিশ্বের নানান দেশে প্রশংসিত হয়েছে।১৯১৩ সালে যখন রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান, তখন তিনিই ভারতের প্রথম নোবল প্রাপকের সম্মানে ভূষিত হন। শুধু তাই নয় কোন ইউরোপীয় হিসাবেও তিনিই প্রথম নোবেল পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। এমনই এক অনন্য সম্মানের অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে খ্যাতির শিখরও তাঁকে সাহিত্যচর্চার নিপুণতা থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি।

রবীন্দ্রনাথ তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ সং এর জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এই নোবেল পুরস্কার শুধু সাহিত্যেই নয়, পুরো উপমহাদেশ নয় বরং এশিয়া মহাদেশের জন্যই ছিল প্রথম নোবেল।১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রচলনের পর থেকে এই পর্যন্ত মাত্র ৩ জন বাঙ্গালি ব্যক্তিত্ত্ব এই পুরস্কার জয় করেছেন। সর্বপ্রথম বাঙ্গালী হিসাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *