কত তারিখে চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়

কোন দেশ বা রাষ্ট্র নিজেদের স্বাধীন বললে দাবি করলে স্বাধীন হয়ে যায় না এটার প্রকৃত একটি স্বীকৃতি প্রয়োজন। আর এই পূর্ণ স্বাধীনতার অর্জনের জন্য বা স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহ বিভিন্ন দেশ স্বীকৃতি প্রদান করলেন স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিতে পাওয়া যায়। আপনারা অনেকেই একটি বিষয় জেনে নিতে চান কত তারিখে চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এই বিষয়টি সম্পর্কে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টিতে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য প্রদান করব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিবেন আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন আপনার অজানা এই বিষয়টি সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নিই এই বিষয়টি সম্পর্কে।

স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানা আপনার আমার দায়িত্বের মধ্যেই পরে। চীন কবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এটি আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক একটি দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধটির দীর্ঘ নয় মাস স্থায়িত্ব ছিল। আর এই নয় মাসে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে ও এক কোটি মত মানুষ দেশ ত্যাগ হতে বাধ্য হন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আর এই যুদ্ধটির বিশাল এক নির্মমতার সাথী হন বিশ্বের নানান দেশ ও দেশের মানুষ। আর এই যুদ্ধে বাঙ্গালীদের বিজয় আর পাক হানাদার বাহিনীদের পরাজয় বিশ্ববাসী ও বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাস পর যুদ্ধ বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জনের পর একের পর এক ১৫০ টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে সর্বপ্রথম ভুটান স্বীকৃতি দেয়। স্বাধীনতা অর্জনের দ্বিতীয় বছরে এশিয়ার বাইরে থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আসতে থাকে। এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পূর্ব জার্মানি। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যখন যুদ্ধ চলতে থাকে তখন পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে চীন নানান ধরনের সহায়তা প্রদান করে। তাই তারা বাংলাদেশকে অনেক পরে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। তাই তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ১৯৭৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রায় চার বছর পর এই দেশটি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দান করে।

বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেটি কিনা কোন দেশের সাহায্য ছাড়াই স্বাধীন হওয়া কোনো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। যে কারণে, বাংলাদেশের সরকারকে স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেকে বিশ্ব দরবারে সব সময় মাথা উঁচু করে থাকে। এদেশের মানুষ যেমন যুদ্ধ করতে ভয় করেনি তেমনি বিশ্ব দরবারে কাছে এদেশের স্বীকৃতি পাওয়া তেমন একটি কঠিন কাজ না। তবে অনেক রাজনৈতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা য় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে কাছে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে এই ক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেক বাধা প্রদান করে তবু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃতিত্বে খুব সহজেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটা পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

আপনারা যারা কত তারিখে চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এ প্রসঙ্গে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ ধরনের বিষয় গুলো খুব সহজে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *