বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে যে ব্যক্তি সবার নাম উঠে আসে তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তি ও মহান নায়ক। তিনি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের সোনার ফসল এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই আপনারা অনেকেই বঙ্গবন্ধু কত তারিখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এই বিষয়টি জেনে নেয়ার জন্য বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এ প্রসঙ্গ জেনে নিতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন আর জেনে নিন আপনাদের এই কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তার অবদান সকলের উপরে। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশটির জন্য এদেশের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে লালন করে আসছিল। কিন্তু এর বাস্তব রুপ লাভ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই। ছাত্র জীবন থেকেই প্রতিবাদী তিনি প্রতিটি আন্দোলনে সবার আগে। তার প্রতিটি কাজেই ও কথাতেই ছিল প্রতিবাদীর একটি সুর। কিন্তু অন্যায় কখনো সহ্য করতেন না সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন তাই পাকিস্তানের সামরিক শাসকেরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর ভয়ে ইত ত্ত্ব থাকত। সে কারণে তারা বিভিন্ন অজুহাতে তাকে জেলে বন্দী রেখেই স্বস্তি পেত। সর্ব প্রথম জেল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
পাকিস্তানি কুচক্রী সরকার স্বাধীনতা ঘোষনার অপরাধে বঙ্গবন্ধুকে দেশ দ্রোহীতার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দেয়।তাই ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হলে ন। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে বিজয় অর্জন করল বাঙালি। কিন্তু বিজয়ের সে আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবাদী সুশীল বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে বার বার তাকে ফাঁসির দড়ি ও জেল থেকে থেকে ফিরিয়ে এনেছে। জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। তবে তিনি দেশে আসেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন স্বাধীন বাংলাদেশে মহান এই নেতা। তার এই স্বদেশ প্রত্যা বর্তনে স্বাধীনতার সংগ্রামের বিজয় পূর্ণতা পায়।প্রায় দশ মাস পাকিস্তানের কারাগারে একাধিক বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন মহান এই নেতা।
পুরো বাঙালি জাতি সংগঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের মানুষ সকল প্রকার আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তো বলে পশ্চিমা শাসকেরা সব সময় সুযোগ খুঁজত কিভাবে তাকে কারারুদ্ধ রাখা যায়। বস্তুত বাঙালি জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর এ স্বাধীনতা অর্জনের অগ্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালির জাতির পিতার আসনে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ধাপে ধাপে তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের শীর্ষ আসনে চলে আসেন।
বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অসামান্য ও অতুলনীয় ছিল। তিনি বাঙালি জাতির জন্য সব সময় ভাবতেন কিভাবে তাদের উন্নত করতে হবে কিভাবে এ দেশের অসহায় ও গরিব মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবে এ কথা তিনি সবসময় ভাবতেন। প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই আবেগে বিপুলভাবে অভিভূ ত হয়েছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দশেই জানুয়ারি দেয়া ভাষণে তিনি খুব দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবভিত্তিক কিছু কথা বলেন এবং বাংলাদেশের বিজয়ী জনগণের উদ্দেশে গুরুত্ব পূর্ণ পরামর্শ দেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের এ বিজয় আমার একার নয় এ বিজয় গোটা বাঙালি জাতির এই বিজয় গোটা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটা ক্ষেত্রে তারা লড়াই করে এই স্বাধীনতা ও বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে।
আপনারা যারা বঙ্গবন্ধু কত তারিখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন, আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।