মুকুল ফৌজ কে গড়ে তোলেন

মুকুল ফৌজ এই শব্দটি আমাদের অনেকের কাছে অপরিচি ত হতে পারে। আবার অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরে ঢাকায় মুকুল ফৌজটি চালু করা হয়। তাই আপনারা অনেকেই মুকুল ফৌজটি কে গড়ে তোলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনা রা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকার পড়ুন। আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েব সাইটটি সিলেক্ট করুন। আর জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে

মুকুল ফৌজ সাধারণত শিশুকিশোর সংগঠনের নাম। মুকুল ফৌজ বাংলাদেশের শিশুদের কল্যাণ, নিরাপত্তা, গঠন, অধিকার আদায়ের অন্যতম একটি সংগঠন মুকুল ফৌজ। আধুনিক সভ্যতার বিশ শতাব্দীর শরুর দিকে শিশুর কল্যাণ ও অধিকার এর কথা ভেবে এই সংগঠনটির সূত্রপাত করা হয়েছিল। কারণ একটি জাতির মূল নেতৃত্বদানকারী হিসেবে থাকে পরের জেনারেশন মানে শিশুরা। একটি জাতির ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্ম ভুল পথে অনুসরণ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে সে জাতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই যে কোন মূল্যে একটি শিশুর ভবিষ্যতকে মূল্যায়ন করার জন্য একটি জাতির বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ মানে একটি জাতির উজ্জ্বল ভবিষৎ।তাই এদের ভাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা উচিত।

সাধারণত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও শিশুদের আরো আধুনিকায়ন করার জন্য স্কাউট হিসেবে একটি সংগঠন তৈরি করা হয়। মূলত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট শিশুদের কল্যাণের জন্য এই সংগঠনটি আন্তর্জাতিকভাবে সংঘটিত করা হয়। একটি শিশুর সুবিধা অসুবিধা ও এর প্রেক্ষাপট হিসেবে একটি জাতি দায়িত্ব শিশুর সঠিক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দান করা। ১৯০৭ সালের ইউরোপ যুদ্ধ কবলিত থাকাকালীন সারা পৃথিবীর শিশু কল্যাণের জন্য অবসর প্রাপ্ত
জেনারেল লড ব্যাটেল এই স্কাউট তৈরি করেছিলেন। বর্তমান সময় এখন অব্দি শিশুরা এই স্কাউটটি পালন করে আসছে। এই স্কাউট এর মাধ্যমে শিশুরা অনেক কিছু আছে যেটার মাধ্যমে শিশুদের হাতে কলমে আধুনিকরণ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

১৯৪১ সালের ৭ ই আগস্ট মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশু ছেলে মেয়েদের সক্রিয় ও আধুনিক সংস্কৃতিতে গড়ে তোলার জন্য দৈনিক আজাদের পাতায় মুকুলের মাহফিল নামে একটি বিশেষ বিভাগ খোলা হয়েছিল। আর এই বিশেষ বিভাগ টির নাম দিয়েছিল কাজী নজরুল ইসলাম। আর এই মুকুলের মাহফিল এই বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোহাম্মদ মোতাব্বের। মুকুলের মাহফিলের পটভূমিতে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামে গড়ে ওঠে শিশু কিশোর সংগঠন মুকুল মেলা। তবে ১৯৪৭ সালের মুকুল মেলার নাম পরিবর্তন করে। এটার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুকুল ফৌজ। আর নাম পরিবর্তন করার সাথে সাথে মুকুল ফৌজ এর পরিচালকের পরিবর্তন করা হয়। তবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সরকার মুকুল ফৌজ কে অসাম্প্রদায় শিশু-কিশোরদের সংগঠন বলে ঘোষণা করেছিল।

তবে মুকুল ফৌজ সংগঠনটি ষাট দশকের দিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই সংগঠনটির বিস্তরণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সংগঠনটির প্রায় চারশত টি শাখার সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ষাট হাজারের মতো। কামরুল হাসান ছিলেন মুকুল ফৌজ এর মূল নেতৃত্বেকারী। মুকুল ফৌজ গড়ে তোলার মূল কারিগরি ছিলেন তিনি। তাছাড়া মুকুল ফৌজ এর অনেক সদস্য আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়েও দেশ গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই সংগঠন টির অবদান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম।

আপনারা যারা মুকুল ফৌজ কে গড়ে তোলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে চান আমরা তা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে তা জানিয়ে দিলাম আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিবেন। তাছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েব সাইটে আপনারা বারবার ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *