আমরা যখন মোবাইল ফোনের সিম কিনে থাকি তখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং তার সাথে সাথে আমাদের হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য তাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। এইসব তথ্যগুলো থেকে খুব সহজেই জানা যায় যে একটি সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। সিম কিনে কোন অপরাধে যেন কোন অপরাধ ঘটাতে না পারে সেজন্যই এরকমটা করা হয় তাছাড়াও কোন সিম হারিয়ে গেলে কিংবা মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে সেগুলো ট্র্যাক করার জন্য এই তথ্যগুলো প্রয়োজন পড়ে।
আপনারা অনেকেই জানতে চাইছেন যে একটি নাম্বার কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সেটা কিভাবে জানা যাবে। যেহেতু একটি সিম কোম্পানির কাছে তার গ্রাহকের সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে তাই তারা চাইলে খুব সহজে জানতে পারবে একটি সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। যদি কোন ব্যক্তি বড় ধরনের অপরাধ করে থাকে তাহলে প্রশাসন খুব সহজেই এই তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই পদ্ধতিতে জেনে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এর পরও সাধারণ মানুষ চাইলে জেনে নিতে পারবে একটি সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
অনেক সময় আমাদের মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল অথবা মেসেজ আসে। এমন অবস্থায় আমরা জানার জন্য অস্থির হয়ে পড়ি ওই নাম্বারটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এটা জানতে পারলে আমরা বুঝে নিতে পারব নাম্বারটি আসলে কার এবং কি উদ্দেশ্যে সে ফোন অথবা মেসেজ করছে। যদিও সাধারণ মানুষ এসব ব্যাপারে খুব একটা বেশি ভাবে না কিন্তু সেলিব্রিটি ও শিল্পপতি মানুষেরা এই ব্যাপার গুলো নিয়ে খুবই আগ্রহী হয় এবং জানার চেষ্টা করে। প্রশাসনের লোকেরা চাইলে খুব সহজেই এসব তথ্যগুলো দিতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষের সাথে তারা এগুলো শেয়ার করতে চাইবে না। যদিও কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলে এই তথ্যগুলো হয়তো বা শেয়ার করবে।
একটি নাম্বার কার নামে রেজিস্ট্রেশন করাই বিষয় নিয়ে খুব ভাবাভাবির প্রয়োজন নেই। আপনার যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে এই নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করতে পারেন। অন্যান্য অনেক উপায়ে নাম্বারের মালিক কে খুঁজে বের করা সম্ভব। ফেসবুক অথবা ইমুর মাধ্যমে কিংবা whatsapp এর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন নাম্বারের মালিক কে খুঁজে পাওয়া যায়।