লাহোর প্রস্তাব বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লাহোর প্রস্তাব পূর্ব-পাকিস্তানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে বাঙালীদের অনেক অধিকার অধিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্নের সৃষ্টি হয় লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে। তাই আপনারা অনেকেই লাহোর প্রস্তাবটিকে কে উপস্থাপন করেছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। আর এই আগ্রহর মাত্রা থেকে আপনারা জেনে নিতে চান লাহোর প্রস্তাব কে উপস্থা পন করেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দিতে চাই আপনাদের এই কান্ট্রিতে প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি। আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আপনি গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
ইংরেজ শাসন আমল শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় মুসলমানদের আধিপত্য কমতে থাকে। মুসলমানরা সংখ্যা লঘুতে পরিণত হয়ে বাস করা শুরু করে। এবং তাদের ওপর নানান ধরনের অন্যায় অবিচার করা হয় এবং সব দিক দিয়ে মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ে তাই এই পিছিয়ে পড়া মুসলমান দের জন্য ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে লাহোরে অনুষ্ঠিত ভারত মুসলিম লীগের বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করা হয় আর এই বার্ষিক কাউন্সিলে মুসলমানদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি ও প্রস্তাব প্রেরণ করা হয় আর এটাই ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে বেশ পরিচিত পাই।
আর এই লাহোর প্রস্তাবটির মধ্যে অন্যতম একটি প্রধান প্রস্তাব ছিল ভারতীয় উপ মহাদেশকে ভেঙ্গে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম জাতীয়তাবাদ তীব্র আকার ধারণ করে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এ মুসলিম জাতীয়তাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে মুসলমানরা অনে ক পিছিয়ে পড়েছিল আর এই পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উন্নত জীবন যাপনের জন্য এই লাহোর প্রস্তাবটি প্রেরণ করা হয়। আর এই দাবিটির আনুষ্ঠানিক উপস্থাপন করা হয় লাহোরে যার জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে লাহোর প্রস্তাব।
লাহোরে উক্ত সম্মেলন সাম্প্রদায়িক সংকট মোকাবেলায় এবং ভারতের পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বাংলার বাঘ এ.কে ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। তাই তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের নামে বিখ্যাত। তাই ১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ লাহারে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক সেই সম্মেলনে ভাষণ দেন আর সেই সম্মেলনে তিনি সর্বপ্রথম লাহোর প্রস্তাবের সকল প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। আর লাহোর প্রস্তাবের বেশ কিছু প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম প্রস্তাব গুলো হলো।ভারত বর্ষের প্রতিটি এলাকায় ভৌগলিক অবস্থায় আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে হবে। ভারতের মুসলিম এলাকা গুলোকে এমনভাবে চিহ্নিত করতে হবে যা আলাদা ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে গঠন করা যায়।
লাহোর প্রস্তাবের ফলে ভারতের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। যা ধীরে ধীরে ভারত বিভক্তির দিকে ধাবিত হতে থাকে। প্রথমে লাহোর প্রস্তাবের মূল ভাষাটি ছিল উর্দুতে পরে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এটাকে বাংলায় উপস্থাপিত করে। লাহোর প্রস্তাবের প্রস্তাবটি প্রদান করার জন্য শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক মুসলিম লীগে যোগদান করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিলো লাহোর প্রস্তাবের মাঝে। মুসলিম লীগের কর্মীদে র নিয়ে শেরেবাংলা একে ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাবের জন্য লাহোরের যাত্রা শুরু করেছিলেন। আর এই অধিবেশনে টিতে যোগা দানের জন্য আগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলার বাঘ শেরেবাংলা। আর সেই লাহোর প্রস্তাব সম্মেলনে বাংলার প্রতিনিধি দলকে ব্যাপকভাবে বরণ করে নিয়েছিল।
আশা করছি লাহোর প্রস্তাব কে উত্থাপন করেন এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলতে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করতে পেরেছি। আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রদান করি। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিতে পারেন।