মা বাবা হওয়া খুব আনন্দের একটি বিষয়। যখন একটা পরিবারে কোন সন্তানের জন্ম হয় সেই পরিবারের খুশি এক বার্তা নিয়ে আসে। তবে গর্ভধারণের বিষয়টি আসলে একটি হিসেবের সাথে জড়িত। আর এই হিসাব অনেকেই মিলাতে পারেনা তাই কখন সহবাস করলে সন্তান হয় বা কোন কোন সময়ে সহবাস করলে মেয়েদের পেটে বাচ্চা আসে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর অনেকে জানেন, আবার অনেকে জানেন না তাই যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি জানেন না আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জেনে নিন কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয় এর সঠিক তথ্য গুলো।
কখন সহবাস করলে সন্তান হয়
শারীরিক মিলনের কিছু নিয়ম সম্পর্কে সচেতন হলে গর্ভবতী হওয়াটা সহজ করে দিতে পারে। তাই আপনি যদি গর্ভবতী না হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম টিপস হলো ভয় না পেয়ে স্বামীর সাথে মিলনে সচেতন হতে পারেন। সেক্সটাকে কিভাবে দুজনে আরও ইনজয় করতে পারেন সেদিকে একটু লক্ষ করেন। যা ঘরে বসে ফ্রী ইনজয় করতে পারেন কখন কিভাবে সহবাস বা মিলন করলে সন্তান হয় তার জন্য আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া কেন? নিজেই এই টিপস গুলো মাথায় রেখে ফলো করে সেক্স করার সময় ট্রাই করে দেখুন, আপনি গর্ভবর্তী হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
সহবাসের সঠিক সময় জানেন কি? যখন তখন সহবাস করলেন আর হয়ে গেল এমনটা হয় কিন্ত। সহবাস করলেই যদি ঝোক থামার জন্য হয় সেটা বড় কথা নয় তার উপর সহবাসের সঠিক সময় নির্ধারণ করতে হবে। সবচেয়ে ভাল সময় হল গভীর রাত কিংবা ভোর যখন খুব নিরব চারপাশ্বে তখনই সহবাসের সঠিক সময়। তখন করে দেখেন অনেক মজা পাবেন সহবাসের সঠিক সময় করলে।শারীরিক মিলনের সময় কিছু জীনিস ফলো করলে আপনাকে দ্রুততম গর্ভবর্তী হতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আপনাকে ফলো করতেই হবে তবে আপনাকে জানতেই হবে ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে। আরও জানতে হবে আপনাকে মাসিকের সঠিক হিসাব ।
যেন আপনি চাইলে সেই সময় মাথায় রেখে কাজে লাগাতে পারেন।এ জন্য একজন নারীর অবস্যই মাসিকের হিসাব মাথার রাখতে হবে মিলনের আগে। শুধু যখন তখন মিলন করলেই গর্ভধারণ হবে এমনটা নয়। মাসিক শুরুর দিন থেকে গুণে গুণে সাতদিন পর্যন্ত ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার মতো পুরোপুরি যোগ্য হয় না বলা চলে। তাদের কথা আলাদা যাদের মাসিক অনিয়ম। কিন্ত যাদের প্রতিমাসে ঠিকঠাক মতো সঠিক সময় মাসিক হয় তারা এ বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন। অনেকের ধারণা করে যে সন্তান নিতে চাইলে প্রতিদিন শারীরিক মিলন হওয়াটা জরুরী।
তবে এটা ঠিক নয় যে প্রতিদিন শারীরিক মিলনে শারিরীক বা মানুষিক অবসাদ বা ক্লান্তি চলে আসতে পারে। কিংবা পুরুষের বীর্য এর ঘাটতি দেখা যেতে দিতে পারে কিংবা নারীর মিলিত হওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে । এর ফলে ডিম্বাণু প্রস্তুত হওয়ার সময় শারীরিক মিলন না ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই এক দিন পর পর শারীরিক মিলন গর্ভবতী হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। গর্ভবত খহওয়ার জন্য একটি নারীকে কোন সময় ওভুলেশন হচ্ছে তা জানতে হবে। কারণ এই সময়টি বিভিন্ন মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা। কারণ মেয়েদের মাসিক চক্র ২৮ দিনে হয় না।
সাধারণত এই মাসিক চক্র 26 থেকে 32 দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। আর এই ওভুলেশন সমস্যাটি নারীদের মাসিক সমস্যার শেষের দিকে হয়। মেয়েদের ওভুলেশন সমস্যাগুলো তারা নানান ভাবে বুঝতে পারে। তাই এই সময়ে সহবাস থেকে নারীদের দূরে থাকতে হয়। তাছাড়া একটা নারীর পরিপূর্ণ সন্তান গ্রহণের উপযুক্ত সময় হল বাইশ থেকে ত্রিশের মধ্যে এই সময়ের মধ্যে সন্তান নেওয়াটা মেয়েদের জন্য উপযুক্ত একটি সময়। যেকোনো দাম্পত্য ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের জন্য সর্বপ্রথম সহবাসের নিয়ম গুলো ও মেয়েদের মাসিক বিষয়টা লক্ষ্য রেখে সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।গর্ভধারণ করতে গেলে এই মাসিকের হিসাবটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভধারণ করতে গেলে তাদের সবাকেই সচেতন হতে হবে তাদের মাসিকের দিনকাল নিয়ে।
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস দিলাম, আপনারা যারা কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে এবং কিভাবে সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসে সেই তথ্যটি বিস্তারিত আপনাদের মাঝে আলোচনা করলাম।