কদরের নামাজ কয় রাকাত

মুসলিম উম্মাহর পবিত্র রাতের নাম হচ্ছে শবে কদর। প্রতি বছর রমজান মাসের শেষের ৫ রাতের একটি রাত হল কদরের রাত। শবে কদরের রাতে সবাই সারারাত ব্যাপী আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা জন্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকে। প্রতি এক বছর পর পর কদরের নামাজ আদায় করতে হয় মুসলিম উম্মাদের। তাই অনেকেই ভুলে যান শবে কদরের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয় আবার অনেকেই জানেন না শবে কদরের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয় তাই এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ইন্টারনেট সহ অনেকে অনেক জায়গায় অনুসন্ধান করছে। তাই এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি।

শবে কদর হচ্ছে ফারসি শব্দ। শবে কদরের আরবি শব্দ হচ্ছে লাইলাতুল কদর। শবে কদরের অর্থ হচ্ছে মর্যাদা পূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী। আল্লাহ তাআলা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ বাদেও কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে বলেছেন। তার মধ্যে শবে কদরের নামাজ অন্যতম।লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের পদ্ধতি নেই।

লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তাই আপনারা শবে কদরের জন্য যত ইচ্ছা তত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন, তবে শবে কদরের নামাজ গুলো দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং এই নামাজ গুলো যত সুন্দর করে পড়া যায় তত বেশি সওয়াব লাভ করা যায়। এই নামাজ দীর্ঘ সময় ধরে খুব পরিশুদ্ধ ভাষায় সূরা পড়ে স্থির ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে।

তবে শবে বরাতের নামাজ নূন্যতম ১২ রাকাত পড়া উত্তম। আর তার জন্য যেভাবে আমরা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ি এভাবে নিয়ত করতে হবে। আর এই নামাজের জন্য আপনি সূরা ফাতেহার সাথে অন্যান্য যে সূরা জানেন সেই সূরা পাঠ করলেই হবে। তবে একটি বিষয় এই নামাজের ক্ষেত্রে আপনাকে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হবে। অন্যান্য সুন্নত বা নফল নামাজের ক্ষেত্রে যেভাবে পড়েন তার থেকে একটু সময় এই নামাজে প্রদান করতে হবে এবং এই নামাজের ক্ষেত্রে বেশি বেশি দরুদ ও সূরা কদর পাঠ করতে হবে।

আপনারা যারা কদরের নামাজ কয় রাকাত এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলটিতে শুরু থেকে শেষ অবধি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করলাম আপনারা আমাদের এখান থেকে এসে আপনাদের এই কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *