কারক নির্ণয়ের সূত্র

বাংলা ভাষায় ঠিকমতো লেখাপড়া এবং বলার জন্য অবশ্যই বাংলা ব্যাকরণ জানা আবশ্যক। আমরা বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সাথে তুলনা করি তাই আজ আমাদের বাংলা ভাষার যাচ্ছে তাই অবস্থা। আমাদের মাতৃভাষাকে ভালো করে জানার জন্য আমাদের বাংলা ব্যাকরণ জানা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে আমরা বাংলা ব্যাকরণের কিছুই জানিনা। এরই প্রেক্ষিতে আজ আমরা কারক নির্ণয়ের সূত্র কি, কিভাবে কারক নির্ণয় করা যায় সে বিষয়ে দেখাবো। আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই এসে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।

এবং এখানে আপনার প্রয়োজনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সঠিক নির্ভুল নির্ভেজাল সহজবোধ্য, প্রাঞ্জল, সহজ, সরল, ভাষায় প্রকাশ করা হয়। তাই অত্যন্ত দুর্বল শিক্ষার্থীর জন্য ও আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বোধগম্য হতে সমস্যা হবে না। তাই আমাদের ওয়েবসাইটটি সকল শিক্ষার্থীর জন্য ভিজিট করা একান্ত প্রয়োজন।

মূলত ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে সাধারণত বিভক্তি ও অনুসর্গ যুক্ত হয়ে থাকে। কারক ছয় প্রকার যথাক্রমে কর্তাকারক কর্মকারক করণ কারক অপাদান কারক অধিকরণ কারক ও সম্বন্ধ কারক।

কর্তা কারক: ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয় তাকেই কর্তা কারক বলে। অর্থাৎ বাক্যের কর্তা বা উদ্দেশ্যই কর্তা কারক। কর্তা কারকে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয় না। যেমন আমরা নদীর ঘাট থেকে রিক্সা নিয়েছিলাম। এখানে আমরার নিচে দাগ।

কর্ম কারক: যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্ম কারক বলে। অর্থাৎ বাক্যের মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম উভয় ধরনের কর্মই কর্ম কারক হিসেবে গণ্য হয়। সাধারণত মুখ্য কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না, তবে গৌণ কর্ম কারকে কে বিভক্তি হয়। যেমন অসহায়কে সাহায্য করো। অসহায়ের নিচে দাগ।

করণ কারক: যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে করণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক, ইত্যাদি অনুসর্গ হয়। যেমন চাষীরা ধারালো কাস্তে দিয়ে ধান কাটছে।এখানে ধারালো কাস্তের নিচে দাগ।

অপাদান কারক: যে কারকে ক্রিয়ার উৎস নির্দেশ করা হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। এই কারকে সাধারণত হতে থেকে ইত্যাদি অনুসর্গ শব্দের পরে বসে। যেমন কাপটা উঁচু টেবিল থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেল। এখানে উঁচু টেবিল থেকে নিচে দাগ।

অধিকরণ কারক: যে কারকে স্থান-কাল বিষয়ও ভাব নির্দেশিত হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে। এই কারকে সাধারণত এ অ এ তে ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন বাবা বাড়িতে আছেন। বাড়িতে এর নিচে দাগ । বিকাল ৫ টায় অফিস ছুটি হবে। বিকাল পাঁচটায় এর নিচে দাগ। রাজিব বাংলা ব্যাকরণে ভালো। ব্যাকরণের নিচে দাগ।

সম্বন্ধ কারক: যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয় তাকে সম্বন্ধ কারক বলে। এই কারকে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরোক্ষ। এই কারকে শব্দের সঙ্গে র এর কার কের ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না। ফুলের নিচে দাগ। অথবা আমার জামার বোতাম গুলো একটু অন্যরকম। আমার জামার নিচে দাগ। অথবা তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল। তখনকার নিচে দাগ।

তাহলে আমরা কারক সম্পর্কে সবকিছুই আলোচনা করে ফেললাম তাহলে কারক কত প্রকার ও কি কি এবং প্রত্যেক প্রকার কারক কিভাবে নির্ণয় করতে হয় সবকিছু আমাদের এখানে দেওয়া হলো। তোমরা যারা এই কারক নির্ণয় করতে চাও ।তারা এই নিয়মগুলি ধরে কারক নির্ণয় করতে পারবে। তাই তোমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবে তাহলে তোমাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *