চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি একটি নিদর্শন। সাধারণত চর্যাপদ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই ভাষা ও কাল সম্পর্কে বিশেষ ভাবে গবেষণা হয়েছে। বাংলা ভাষার পূর্ববর্তী রূপ অপভ্রংশ থেকে কোন মুহূর্তে এ ভাষা স্বপরিচয়ে চিহ্নিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয় চর্যাপদের মাধ্যমে। চর্যাপদ অনেক প্রাচীন সাহিত্য কর্ম হলেও এটির আবিষ্কার খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। চর্যাপদ প্রধানত তত্ত্বাবদের বাহন। চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্র বাংলা নয়, কারণ চর্যার কবিগণ ছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলের তাই এই চর্যাপদের ভাষা গুলো ছিল নানান ভাষায়।
তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে চর্যাপদ কে আবিষ্কার এই প্রশ্নেটির সম্মুখীন হতে হয়। আর এই প্রশ্নটির উত্তর জানতে আপনারা অনেকেই গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। আর এই ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনারা গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে আপনার আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।
আমরা অনেকেই চর্যাপদকে শুধু বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য হিসেবেই জানি। কিন্তু চর্যাপদ প্রাচীন বাংলার গানেরও নিদর্শক। বাঙালির সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় ফুটিয়ে উঠেছে চর্যাপদের মাধ্যমে। প্রাচীন বাঙালির জীবন ও সাধনা সম্বন্ধে অনেক রহস্যের সমাধান ঘটেছে চর্যাপদের মাধ্যমে। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন বাংলা ভাষার এতে কোন সন্দেহ নেই, তবে প্রাচীন বাংলা ভাষা আধুনিক কালের বাংলার মত এত সুগঠিত ছিল না। ফলে এটা পড়তে ও বুঝতে অনেকটাই সমস্যা হয়েছে। বৌদ্ধ সিদ্ধ আচার্যদের রচনা হিসেবে চর্যা পদের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ পেলেও এর সাহিত্যিক মূল্য অবশ্যস্বীকার্য। চর্যাপদের বক্তব্য কেবল জ্ঞানের নয় ভাবের বিষয় এবং তাকে ব্যক্ত করার উপযুক্ত সার্থক মাধ্যম ও চর্যাকারেরা আহরণ করেছিলেন।
চর্যাপদ সর্বপ্রথম প্রকাশিত করা হয় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলা সাহিত্যের উন্নতি এবং প্রসারের উদ্দেশ্যে অন্যতম একটি অংশ হলো এটি। বাংলা ভাষার বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা অন্যান্য রচনায় এর ভূমিকা অন্যতম। তাই আপনারা যারা জেনে নিতে চান চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন তাদের জন্য বলছি। ১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের পর থেকে অনেক পণ্ডিত ও গবেষক এ বিষয়ে আলােচনা করে। এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলােকপাত করেছেন অনেকেই । তবে চর্যাপদের আবিষ্কারক হিসেবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নাম এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে বাংলা সাহিত্যে রয়েছেন। এই বিষয়টির উপর তিনি নানান ধরনের গবেষণা করেছিলেন পরবর্তীতে তিনি চর্যাপদের এই বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করেছিলেন। তাই তাকে চর্যাপদের আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। নেপালের রাজ দরবারের পুথী সন্ধানে পরবর্তী চর্যাপদের আবিষ্কার করা হয়।