বাংলা নববর্ষ কে চালু করেন

বাংলা নববর্ষ টি বাংলার সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম তারিখে বাংলা নববর্ষ টি উদযাপন করা হয়। দিনটিকে ঘিরে বাঙালি জাতি নানান ধরনের আয়োজন করে থাকে। বাংলা নববর্ষ উৎসবটি এমন একটি উৎসব যে উৎসব ঘিরে বাঙালির প্রতিটি ঘরে আনন্দের জোয়ার ভাসে। ছোট ,বড় ধর্ম বর্ণ সবাই মিলে মিশে এই উৎসবটি পালন করে থাকে। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। আর এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জাঁক জমক ভাবে পালন করে থাকে। তাই বাংলা নববর্ষ টি কে চালু করেন এই প্রশ্নের উত্তরটি সবাই জেনে নিতে চান। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তে আপনাদের কাঙ্খিত এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। আপনারা যারা এই প্রশ্নটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি।

বাংলা নববর্ষ টি বাঙালি সর্বজনীন একটি উৎসব। বাংলা দেশে প্রতিবছরে এই উৎসবটি খুব জমকালো ভাবে পালন করে থাকে বাঙালি জাতিরা। বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে এই দিনটি সরকারিভাবে ছুটি থাকে। বাংলা নববর্ষ কে ঘিরে শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল শুভ নববর্ষ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সারা বাংলাদেশ মঙ্গল শোভা যাত্রা আয়োজন করা হয় আর এ শোভা যাত্রার মাধ্যমে সারা বছর যেন সব কিছু যেন ঠিক থাকে সেই মঙ্গল কামনা করা হয়। বাংলা নববর্ষ বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। বাঙালি জাতির জন্য এটা একটি লোক উৎসব।

বাংলা নববর্ষ কে খুব আনন্দঘন পরিবেশে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বহু প্রাচীনকাল আগ থেকে বাংলা সংস্কৃতিতে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়ে থাকে। এক সময় বাংলা নববর্ষ টি পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এই উৎসবটি সকল বাঙালির। তাই আপনারা যারা জানতে চান বাংলা নববর্ষ কে চালু করেন তাদের জন্য বলছি বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত আকবরের সময় থেকেই। কৃষি কাজের সুবিধার্থেই মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের বাংলা সন প্রবর্তন করেন। এবং সেই যুগ থেকেই বাংলা নববর্ষ টি পালন হয়ে আসছে। অতীতে বাংলা নব বর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে নববর্ষটি একটি উৎসব হিসেবে দাঁড়িয়েছে যেটা সকল অসাম্প্রদায়িকতা দূর করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *