কোন তরল পদার্থ যতটুকু জায়গা জুড়ে থাকে তা এর আয়তন বলে থাকি। একটি ঘনবস্তুর দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা আছে। কিন্তু কোন তরল পদার্থের নির্দিষ্টভাবে তা নেই। যে পাত্রে তরল পদার্থ রাখা হয় তা সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। এজন্য নির্দিষ্ট আয়তনের কোন বস্তুর ঘনবস্তুর আকৃতির মাপনি দ্বারা তরল পদার্থ মাপা হয়। এক্ষেত্রে আমরা সাধারণত লিটার মাপনি ব্যবহার করে থাকি। লিটার মাপানি গুলো এক লিটার, ২ লিটার, ৩ লিটার, ৪ লিটার, অথবা আড়াইশো গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ইত্যাদি মাপের অ্যালুমিনিয়াম বা টিনের সীট দ্বারা তৈরি একপ্রকারের কোনক আকৃতির পাত্র বা সিলিন্ডার আকৃতির মগ হতে পারে। আবার স্বচ্ছ কাচের তৈরি ২৫, ৫০, ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০, ১০০০, মিলিলিটারের দাগকাটা খাড়া পাত্র ব্যবহার করা হয়। সাধারণত দুধ তেল মাপার ক্ষেত্রে উল্লেখিত পাত্র গুলি ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু যখন আমরা দেশীয় রীতিতে পরিমাপ করতাম তখন আমাদের দেশীয় রীতিতে তরল পদার্থ গুলিও মাপা হয়ে থাকতো। সেখানে সের, আধাসের, পোয়া, ছটাক, তোলা ইত্যাদি পরিমাপক গুলি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বিভিন্ন দেশের পরিমাপের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি প্রচলিত থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও আদান-প্রদানের অসুবিধা হওয়ার কারণে গোটা বিশ্বে অর্থাৎ সারা বিশ্বে একই ধরনের পরিমাপকের প্রচলনের কথা বিশ্ববাসী ভাবতে শুরু করে। সেই ভাবা থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম একটি পরিমাপক পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়। সেই পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক রীতি তথা মেট্রিক পদ্ধতি বলা হয়। সেই সূত্র ধরেই আমাদের বাংলাদেশেও দেশি রীতি প্রত্যাখ্যান করে পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাই থেকে সরকারিভাবে মেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এই ম্যাট্রিক পদ্ধতি খুবই কার্যকর ভাবে প্রচলিত আছে। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে ও এই পদ্ধতি হাটে বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দোকানপাট সব স্থানে পুরোপুরিভাবে প্রচলিত আছে। আমরা জানি ওজন পরিমাপের একক গ্রাম এটি মেট্রিক পদ্ধতির একক এই ম্যাট্রিক পদ্ধতির এককে কম কম ওজন পরিমাপ করার জন্য গ্রাম একক ব্যবহার করা হয় এবং বেশি বেশি পরিমাণ বস্তু ওজন করার জন্য কুইন্টাল মেট্রিক টন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন আমাদের দেখাতে হবে এক লিটার সমান কত কেজি হবে। বা এক কেজি সমান কত লিটার পরিমাণ হতে পারে। তাহলে চলুন দেখা যাক এক কেজি সমান কত লিটার। যেহেতু আমরা জানি এক লিটার বিশুদ্ধ পানির ওজন এক কিলোগ্রাম তাই আমরা বলতে পারি
১ কেজি = ১লিটার
কিন্তু যেহেতু কিলোগ্রাম ভরের একক এবং লিটার তরল পদার্থের আয়তনের একক। তাই দুইটি ভর এক হতে পারে না। শুধুমাত্র ৪°( ডিগ্রি )সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানির ওজন ছাড়া অন্য সকল ক্ষেত্রেই এক কেজি সমান ১ লিটার আলাদা হতে পারে।
এবার আমরা দেখি
১ কেজি=১.০৪১৬/১.০৫২৬৩/১.০২০৪ লিটার (প্রায়)
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি যারা এখনো ভিজিট করেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা স্বাস্থ্য পুষ্টি বিজ্ঞান ইত্যাদি সম্পর্কে সকল তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে আপনাদের যেকোন তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসে খোঁজ করলে অবশ্যই পাবেন। যেকোনো তথ্য খোঁজার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা আসতে পারেন। আবার যে কোন তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। তথ্য গুলি ডাউনলোড করে নিতে নিচের ডাউনলোড অপশনে গিয়ে দেখানো লিংকে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর গুলি বা তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনার কোন এক্সট্রা চার্জের প্রয়োজন হবে না। তাই আপনি চাইলে অত্যন্ত সহজ ভাবেই অন্য কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলি নিয়ে নিতে পারবেন।