বর্তমানে আমাদের দেশের, সমাজের বা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের পরিমাপ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। আমাদের দেশে পূর্বে আমাদের দেশীয় রীতিতে পরিমাপগুলি হয়ে আসতো। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ, এই দেশের শতকরা ৮৫ জন লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত। বর্তমানে যদিও কৃষিকাজের দিকে মানুষের মনোযোগ কম হলেও এখনো আমরা কৃষি প্রধান দেশ হিসেবেই বিশ্বে পরিচিত। কৃষি আমাদের দেশের প্রধান অর্থনৈতিক দিক। তাই আমাদের পারিবারিক জীবনে যেখানেই যাই ওজন পরিমাপের একটা বিষয় থেকেই থাকে। তাই দেশীয় পরিমাপ পদ্ধতিতে আমরা সের, ছটাক, পোয়া, মণ, ইত্যাদি এককে বস্তুর পরিমাপ করে থাকি।
এখন আমাদের নির্ণয় করতে হবে ১ সের সমান কত কেজি পরিমাণ হবে। আমাদের দেশে পূর্বে দেশীয় রীতিতে পরিমাপ করা হলেও বর্তমানে কিন্তু মেট্রিক পদ্ধতিতে পরিমাপের বা বস্তু পরিমাপের প্রচলন হয়েছে। তবে এই পরিমাপটি কবে থেকে, কেন প্রবর্তন করা হয় তা এখন আমরা জানব। বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বাধীন দেশ এবং আমাদের এই দেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক খোলা আছে। আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হলে অবশ্যই বহিঃবিশ্বের সঙ্গে আমাদের একই রকম ওজন বা পরিমাপ হওয়া আবশ্যক। আর এই আবশ্যকতার দিকটি বিবেচনা করে আমাদের বাংলাদেশ সরকার ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাই থেকে মেট্রিক পদ্ধতিতে পরিমাপের বিষয়টি সরকারিভাবে প্রচলন করা হয়।
তবে আন্তর্জাতিক কর্তা ব্যক্তিরা বহি: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টা যখন তাদের নজরে আসে তখন তারা দেখে এক এক দেশের পরিমাপ পদ্ধতি এক এক রকম এককে হয়ে থাকে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বা এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের আদান-প্রদানে বিরাট একটা অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই অসুবিধা দূর করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। সেই বিবেচনা থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম একটি রীতি প্রবর্তন করা হয়। এই রীতি আন্তর্জাতিক রীতি বা ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির পরিমাপ। বর্তমান বিশ্বে এখন এই পদ্ধতিতেই আন্তর্জাতিকভাবে পরিমাপের করা হয়। এই আন্তর্জাতিক রীতিতে অর্থাৎ মেট্রিক পদ্ধতিতে ওজন পরিমাপের একক হল গ্রাম। তবে এই গ্রাম আমরা কম ওজনের বস্তুর পরিমাপের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি।
বেশি ওজনের ওজনের বস্তুকে পরিমাপ করার জন্য আমাদের কিলোগ্রাম কুইন্টাল মেট্রিক টন ইত্যাদি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। এখন আমাদের দেখাতে হবে এক সের সমান কত কিলোগ্রাম বা কেজি হবে। তাহলে আমরা দেখতে পারি যে এক সেন সমান কত কিলোগ্রাম হয়
১ শের =০.৯৩৩১কেজি/কিলোগ্রাম (প্রায়)
তাহলে আমরা এখন দেখলাম দেশীয় রীতিতে এক সের সমান আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী বা মেট্রিক পদ্ধতিতে শূন্য দশমিক ৯৩৩১ কিলোগ্রাম হয়। যদিও ৪০ সেরে এক মন হয় কিন্তু তাহলে আমরা আর বলতে পারব না 40 কেজি সমান এক মণ। কেজির ক্ষেত্রে যদি মণ পরিমাপ টি হয় তাহলে ৩৭.৩২ কেজি হলেই এক মণ পরিমাণ সমান হবে। এখন আমরা দেখে নিলাম আমাদের দেশীয় রীতির পরিমাপের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমাপের রীতির এককগুলি কতখানি হবে। তাই আমরা বলতে পারি আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা বারবার ভিজিট করুন।
কারন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয় আর এই সকল তথ্যগুলি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নির্ভুলভাবে প্রকাশ করে থাকি। যেকোনো তথ্যের জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমরা সমসাময়িক বা পূর্বের সকল বিষয়ের তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই বলতে পারি আপনার জীবনের চলার পথে যে কোন তথ্যের প্রয়োজন হলেই সেই তথ্যটি আমাদের ওয়েবসাইটে খোঁজ করলে অবশ্যই আপনারা পাবেন বলে আশা রাখি। এবং শিক্ষার্থীরা ও আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার ভিজিট করতে পারবে কারণ আমরা সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ের কঠিন প্রশ্ন গুলি অত্যন্ত সহজ ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে তাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নেয় তাহলে পড়াশোনা অনেক সহজ হয়ে উঠবে তাদের জীবনে।