দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার। আবার দেশীয় পদ্ধতিতে আমরা হাত, গজ ইত্যাদি স্থানীয়ভাবে অথবা দেশীয় পদ্ধতিতে পরিমাপ করে থাকি। তবে আমাদের এখন মেলাতে হবে দেশীয় রীতির পরিমাপ পদ্ধতির সাথে ম্যাট্রিক পদ্ধতির দৈর্ঘ্য পরিমাপের এককগুলির সম্পর্ক। আমরা বা আমাদের দেশে পূর্বে কাপড় বা অন্যান্য দৈর্ঘ্য পরিমাপের মত জিনিসগুলি দোকান থেকে বা বাজার থেকে কিনতে গেলে অবশ্যই সেটা হাত, গজ ইত্যাদি ভাবে পরিমাপ করে কিনে আনতাম বা ক্রয়-বিক্রয় হত। কিন্তু বর্তমানে হাটে বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে দোকানপাটে দৈর্ঘ্য পরিমাপের ক্ষেত্রে বা ঐসব বস্তুগুলি এখন মিটারে ক্রয়- বিক্রয় হয়। যেমন আমরা পূর্বে কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কিনতে গেলে গজ, গিরা এভাবে ক্রয় -বিক্রয় করত, কিন্তু বর্তমানে কাপড়ের হিসাবটি মিটারে প্রচলিত হয়ে গেছে।
তাই আজ আমাদের এখন দেখাতে হবে এক মিটার সমান কত হাত দৈর্ঘ্য হবে।আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনো ভিজিট করেননি তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক ,স্বাস্থ্য বিষয়ক, বিজ্ঞান বিষয়ক, সকল প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সহজ সরল সুন্দরভাবে প্রকাশ করা থাকে। তাই অত্যন্ত দুর্বল শিক্ষার্থীরাও আমাদের ওয়েবসাইটের প্রশ্নের উত্তরগুলি বুঝে নিতে পারবে। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায় ।
ডাউনলোড করে নিতে কোন ধরনের এক্সট্রা চার্জ প্রযোজ্য হয় না। তাই যদি কোন শিক্ষার্থীরা অথবা যদি কোন ব্যক্তির আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রশ্নের অথবা কোন তথ্য ডাউনলোড করে নিতে হয় তাহলে তারা অন্যান্য খরচ ব্যতীতই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন তথ্য ডাউনলোড করে নিতে নিচে ডাউনলোড অপশন এ গিয়ে সেখানে দেখানো প্রয়োজনীয় লিঙ্কে ক্লিক করে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে হয়। তাহলে আমরা গাণিতিকভাবে দেখতে পারি এক মিটার সমান কত হাত
১ মিটার =২.১৮৭২৬ হাত(প্রায়)
আমরা পরিমাপ সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্য এখানে দেখতে পারি। এই তথ্যগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনে ই কাজে লাগবে বলে আমরা আশা করি।
তাহলে চলুন দেখা যাক পরিমাপ সম্পর্কে আর তথ্য গুলি কি কি সেগুলো দেখে নিই।
১ বর্গহাত = ৩২৪ বর্গ ইঞ্চি
৪ বর্গগজ বা ৪ গন্ডা=৯ বর্গফুট = ০.৮৩৬ বর্গমিটার (প্রায়)
১ কাঠা=৭২০ বর্গফুট = ৮০ বর্গগজ ৬৬.৮৯ বর্গমিটার (প্রায়)
১ বিঘা=১৬০০ বর্গগজ=১৩৩৭.৮ বর্গমিটার (প্রায়)
১ শতক= ৪৩৫.৬ বর্গফুট (প্রায়)=১০০০ বর্গকড়ি (১০০ কড়ি = ৬৬ ফুট)
১ বর্গমাইল=১৯৩৬ বিঘা
১ বর্গমিটার=৪.৭৮ গন্ডা (প্রায়)=০.২৩৯ ছটাক (প্রায়)
১ এয়র=২৩.৯ ছটাক (প্রায়)
দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার। এই মিটারটি কবে থেকে চালু হয় তা আমরা এখন দেখব। এই মিটারের পরিমাপের একক হিসেবে ব্যবহার করার ইতিহাস কি। পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দ্রাঘিমারেখা বরাবর বিষুবরেখা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের কোটি ভাগের এক ভাগকে এক মিটার হিসাবে গণ্য করা হয়।
পরবর্তীতে প্যারিস মিউজিয়ামে রক্ষিত একখণ্ড প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি রড এর দৈর্ঘ্য এক মিটার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এই দৈর্ঘ্যকেই একক হিসেবে ধরে রৈখিক পরিমাপ করা হয়। দৈর্ঘ্যের পরিমাপ ছোট হলে সেন্টিমিটারে এবং বড় হলে আমরা কিলোমিটারে প্রকাশ করে থাকি। দৈর্ঘ্যের একক মিটার থেকে মেট্রিক পদ্ধতি নামকরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পরিমাপের জন্য বিভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি প্রচলিত থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
সেই অসুবিধা দূর করার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক রীতি তথা ম্যাট্রিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। আর এই পদ্ধতিটি শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে। ফ্রান্সই প্রথম এই পদ্ধতির প্রবর্তন করে। আর এই পদ্ধতির সাথে মিল রাখার জন্য তথা সারা পৃথিবীর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করার লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার সরকারিভাবে ম্যাট্রিক পদ্ধতি তথা আন্তর্জাতিক রীতি প্রচলন করে আমারে বাংলাদেশেও। সেই থেকে বাংলাদেশে প্রচলিত আছে মেট্রিক পদ্ধতি বা ম্যাট্রিক পদ্ধতির এককগুলি।