হাদিস কত প্রকার

আমাদের প্রিয় নবী ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা, কাজ ও মৌন সম্মতি হলো হাদিস। আর এই হাদিস এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো আমাদের মুসলমান জাতির জন্য কোন কাজ থেকে হারাম করেছে আর কোন কাজ তাকে হালাল করেছে। তাছাড়া হাদিসের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবন কিভাবে ইসলামিক পরিভাষায় পরিচালিত করব সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই অনেকেই হাদিস কত প্রকার এই বিষয়টি জানার জন্য ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছে। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে হাদিস কত প্রকার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। তাই হাদিস কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার কাঙ্খিত এ প্রশ্নের সবগুলো উত্তর।

ইসলামের শরীয়াতের দ্বিতীয় উৎস হলো হাদিস। আর ইসলামের শরীয়ত অনুসারে প্রধান ও প্রথম হল কোরআন মাজীদ। কুরআন মাজীদে যে কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা বা কোরআন মাজীদে কোনো বিষয়ে বুঝতে না পারলে হাদিসের আলোকে সেটাকে সমাধান করে। কারণ কুরআন মাজীদের সম্পূর্ণ কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা না দিতে পারলেও হাদিস সেখানে তার পুরোটা সে বিষয়ে আলোচনা করে। তাই অনেক সময় মানুষ হাদিস থেকে অনেক কিছু বিস্তারিত তথ্য পাই। কারণ আমাদের প্রিয় নবীর জীবনের চলার ক্ষেত্রে কি কি করেছে কি কাজগুলো করলে ইসলামের পরিভাষায় সঠিক হবে আর কোন কাজগুলো করলে সঠিক হবে না এই বিষয়গুলো হাদিস থেকে আমরা পেয়ে থাকি।

হাদিস আরবী শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ কথা, বানী, সংবাদ, উপদেশ ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় হাদীস হচ্ছে- রাসূল (সঃ) এর যে কথা, কাজের বিবরণ কিংবা কথা ও কাজের সমর্থন ও নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে প্রমানিত ইসলামী পরিভাষায় তাকে হাদীস বলে। ইসলাম জীবন বিধানের মূল ভিত্তি হল কুরআন মাজীদ ও হাদিস। কুরআন মানুষের জীবন ব্যবস্থার মৌলিক নীতি প্রেরণ করে, আর হাদিস থেকে পাওয়া যায় সেই মূলনীতির বাস্তবায়ন। কুরআন মাজীদ যদি ইসলামের প্রদীপ হয়ে থাকে, তাহলে হাদিস হলো সেই প্রদীপের বিচ্ছুরিত আলো, তাই ইসলামকে বুঝতে হলে হাদিস ও কুরআনকে শক্তভাবে আয়ত্ত করতে হবে ।

ইসলামের দিক অনুসারে প্রাথমিকভাবে হাদিসকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. কাওলী হাদীস ২. ফেলী হাদীস ৩. তাকরিরী হাদীস।

১. কাওলী হাদিস: হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর তার কথা মূলক ও বিবৃতি গুলোকে কাওলি হাদিস বলা হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে নবীজি কোন বিষয়ে নিজে যা বলেছেন সেটা হলো ইসলামের জীবন ব্যবস্থায় প্রথম উৎস। আর এটাই হলো কাওলী হাদিস।

২. ফেলী হাদিস: রাসূল সাঃ এর কর্ম চরিত্র ও আচরণ ইত্যাদি ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান ও রীতিনীতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাকে ফেলী হাদিস বলা হয়। এক কথায় যে হাদিস রাসূলের কর্মের ওপর তৈরি হয়েছে এটাই হলো ফেলী হাদিস।

৩.তাকরিরী হাদীস: রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর অনুমোদন ও সম্মতি যে কাজ অর্থাৎ সাহাবীদের যে সকল কথা কাজে সম্মতি পাওয়া যায়, সে কাজে প্রতিবাদ ও নিষেধ করে নাই তাকে তাকরিরী হাদিস বলা হয়।

আপনারা যারা হাদিস কত প্রকার এই প্রশ্নের উত্তরটি ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করছিলেন আমরা আপনাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজেই জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *