গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার নাম্বার

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার করা হয় গ্রামীণফোনের সিম। বাংলাদেশ খোঁজাখুঁজি করলে এমন কোন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না যে কখনো গ্রামীণফোনের সিম কার্ড ব্যবহার করেননি। গ্রামীনফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে দেশের প্রায় প্রতিটি স্থানে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের জন্যই গ্রাহকরা গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহার করে থাকে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর এই যে আজ আমরা গ্রামীণফোনের প্রতিটি জেলার কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আপনারা যারা এখন পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে পারেননি তারা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রতিটি কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার খুঁজে পেতে পারেন।

আমরা আশা করব কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন আপনার কাছের মানুষজনকে পৌঁছে দিতে। চলুন আলোচনা করা যাক কোন কোন সার্ভিস গুলো গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার থেকে পেতে পারেন এবং কোন ধরনের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য কাস্টমার কেয়ারে ফোন করবেন। মোবাইল ফোনে যেকোনো সমস্যা হলেই আমরা কাস্টমার কেয়ারে দেখানোর কথা চিন্তা করি। অনেকে শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু ছোটখাটো সমস্যা হলে সমাধান করতে পারে না। ছোটখাটো সমস্যাগুলো নিজে থেকে সমাধান করে ফেলার চেষ্টা করা উচিত। আধুনিক যুগে এসে এই বিষয়গুলো আমাদের শিখে রাখা উচিত কারণ যেকোনো পরিস্থিতি আমাদের হ্যান্ডেল করা জানতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যদি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে চাই তাহলে এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। প্রযুক্তি সম্বন্ধে ঠিকঠাক ধারণা না রাখার কারণে অনেক সময় প্রতারণার শিকার হবার সম্ভাবনা থাকে।

চলুন এখন আলোচনা করি কোন ধরনের সমস্যা গুলো কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে সমাধান করবেন। আপনার গ্রামীণফোন সিমে যদি কোন ধরনের মেসেজ এসে বারবার টাকা কেটে নেয় তবে কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কাস্টমার কেয়ারে না গিয়েও এই সমস্যা সমাধান বাড়িতে বসে করতে পারবেন তবে যারা করতে পারবেন না তারা সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে সমাধানের পদ্ধতি জেনে নিবেন। অনেক সময় আমাদের অজান্তেই কিছু সার্ভিস চালু হয়ে যায় যা নির্দিষ্ট একটি চার্জ কেটে নেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সমস্যা ধরতেও পারি না তাই সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এখন বায়োমেটিক্স পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সিম ক্রয় করতে হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করাই গ্রাহকের প্রতিটি তথ্য গচ্ছিত থাকে। আপনি যদি এই বিষয়ে কোনো তথ্য পেতে চান তবে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জেনে নিতে পারেন । গ্রামীনফোনে সাধারণ সমস্যাগুলো ওয়ান টু ওয়ান এ কল করেই সমাধান করা যায়। তবে সমস্যা জটিল হলে সরাসরি গ্রামীনফোনের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সমাধান করে নেওয়া বেটার। আপনারা অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন কাস্টমার কেয়ারের নম্বর সংগ্রহ করা উচিত।

জিপি নাম্বার থেকে ১২১ (প্রতি মিনিট ৬৭ পয়সা VAT+SD+SC সহ) এবং অন্য অপারেটর থেকে ০১৭১১৫৯৪৫৯৪ ( অপারেটর এর ট্যারিফ অনুযায়ী চার্জ হবে) নাম্বারে কল করে কাস্টমার ম্যানেজার এর সাথে কথা বলতে পারবেন। জরুরি সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা পেতে ডায়াল করুন *১২১#

কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা উচিত কারণ এক্ষেত্রে বাড়িতে বসেই আপনারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেদের প্রবলেম সলভ করে নিতে পারবেন। মোবাইল নাম্বার কাছে না থাকলে সরাসরি কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে যা আমাদের অনেকের কাছে অনেক কষ্টসাধ্য। সে ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ারের ঠিকানা জেনে নিতে হয়। আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের প্রতিটি কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বারের পাশাপাশি ঠিকানা সংযুক্ত করব। আশা করি গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা এমন তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে ভীষণ খুশি হবেন।

গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার সম্বন্ধে যদি আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে কমেন্ট বক্সে এসে লিখে ফেলুন। আপনাদের প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দেবার চেষ্টা করবো আমরা। আশা করি গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা পাওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন। গ্রামীণফোনের সাথে আপনার যাত্রা শুভ হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *