আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার পণ্য দ্রব্যের পরিমাপ করতে হয় আর এই পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এককের প্রয়োজন হয় । আমাদের দৈর্ঘ্য মাপার জন্য ওজন পরিমাপ করার জন্য তরল পদার্থের আয়তন বের করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি রয়েছে। ক্ষেত্রফল ও ঘনফল নির্ণয়ের জন্য দৈর্ঘ্য পরিমাপ দ্বারা তৈরি পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। আবার জনসংখ্যা পশুপাখি গাছপালা নদী-নালা ঘরবাড়ি যানবাহন ইত্যাদির সংখ্যাও আমাদের জানার প্রয়োজন হয়।
গণনা করে এগুলোর আমরা পরিমাপ করতে পারি। আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা যারা এখনো ভিজিট করেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক,স্বাস্থ্য বিষয়ক, খেলাধুলা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। ব্যক্তি বিশেষে আপনাদের যে যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি পেয়ে যাবেন। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকলে আমরাও সঠিক তথ্য দিয়ে এবং সব তথ্য দিয়ে আপনাদের পাশে থাকতে পারবো।
আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জিনারা তথ্যগুলি বা প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে চান তারাও তাদের প্রয়োজনীয় উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন ধরনের চার্জ প্রযোজ্য হয় না। তাই যে কোন ব্যক্তি বা কোন শিক্ষার্থী আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি অনায়াসে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। যে কোন গণনায় বা পরিমাপে একক প্রয়োজন হয়।
গণনার জন্য একক হচ্ছে স্বাভাবিক সংখ্যা ১।
এমনিভাবে প্রত্যেক ধরনের বস্তুকে পরিমাপ করার জন্য আলাদা আলাদা একক আছে। ওজনের একক গ্রাম। আবার তরল পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক ও অনুরূপভাবে আমরা বের করতে পারি । ক্ষেত্রফল পরিমাপের ক্ষেত্রে এক একক দৈর্ঘ্যের বাহু বিশিষ্ট একটি বর্গাকার ক্ষেত্রকে একক ধরা হয়। সকল ক্ষেত্রেই এককের মাধ্যমে গণনায় বা পরিমাপের সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করা যায়, কিন্তু পরিমাপের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন একক রয়েছে।
এই বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক সমস্যা হয়। কারণ আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে আদান-প্রদানে বিভিন্ন এককে সমস্যা হয়। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে পরিমাপ করার জন্য আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ তথা ম্যাট্রিক পদ্ধতির ব্যবহার হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসা-বাণিজ্যে বা আদান-প্রদানে অসুবিধার কারণে ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাই থেকে বাংলাদেশে মেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হয়। এখন দৈর্ঘ্য ক্ষেত্রফল ওজন ও তরল পদার্থের আয়তন প্রতিটি পরিমাপেই এই পদ্ধতি পুরোপুরিভাবে প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার দোকান সর্বত্রই আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত আমাদের দেশে দেশীয় রীতি অনুযায়ী যে ধরনের একক গুলি ছিল সেগুলি ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হিসেবে মিটার প্রচলিত আছে।
গজ থেকে ফুট রূপান্তর
পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দ্রাঘিমারেখা বরাবর বিষুবরেখা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের কোটি ভাগের এক ভাগকে এক মিটার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে প্যারিস মিউজিয়ামে রক্ষিত ১ খন্ড প্লাটিনাম ও ইরিডিয়ামের তৈরি রড এর দৈর্ঘ্য 1 মিটার হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। এখন আমাদের দেখাতে হবে এক গজ সমান কত ফুট। তাহলে আমরা আমাদের উত্তরে আসি।
১ গজ= ৩ ফুট।
এছাড়াও আমরা দৈর্ঘ্য পরিমাপের অন্য এককগুলিও এখন দেখে নিতে পারি। দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য যে যে এককগুলি প্রয়োজন হতে পারে সেগুলি আমরা এখানে দেখে নিই।
১মিটার =৩৯.৩৭ ইঞ্চি
১ ইঞ্চি=২.৫৪ সেন্টিমিটার (প্রায়)
১০০ এয়র= ১ হেক্টর।
১ হেক্টর = ১০০০ বর্গমিটার।
১ ঘনমিটার=১০,০০,০০০ ঘন সেন্টিমিটার।
১ বর্গমিটার=১০.৭৬ বর্গফুট
২.৪৭ একর=১ হেক্টর।
১ লিটার = ১০০০ ঘন সেন্টিমিটার।
তাহলে আমরা পরিমাপ সম্পর্কে বিভিন্ন একক গুলো দেখে নিলাম। প্রয়োজন বোধে এই এককগুলি ব্যবহার করে আমরা পরবর্তীতে কোন সমাধান করতে হলে তা করে ফেলতে পারব।