বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র

জ্যামিতি গণিত শাস্ত্রের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই জ্যামিতির সকল কিছু আমাদের জানতে ও বুঝতে হবে। বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র জ্যামিতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের ওয়েবসাইটে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করা হয়। এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উত্তর দেওয়া হয়। তোমাদের যাদের জ্যামিতি ও গণিত বিষয়ে যে কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে তার উত্তর দেখে নিতে পারো। আমাদের ওয়েবসাইটে সকল জটিল ও কঠিন বিষয়ের উত্তর দেওয়া থাকে। তাই যে কোন জটিল বা কঠিন বিষয় এর উত্তর তোমরা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড ও করা যায়। তোমরা যারা প্রশ্নগুলোর উত্তর ডাউনলোড করে নিতে চাও, তারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের অংশে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে দেখানো লিংকে ক্লিক করে তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি নিয়ে নিতে পারবে।

এখন দেখা যাক বর্গ নির্ণয়ের সূত্র কি হতে পারে। আমরা আগেই বলেছি যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে সে বিষয়টি অবশ্যই ভালো করে বুঝে নিতে হবে। তা না হলে আমরা সেই বিষয়ের উত্তর করতে পারবো না। এখন দেখি জ্যামিতিতে বর্গ কাকে বলে। বর্গ কাকে বলে সেটি যদি আমরা না জানি তাহলে বর্গের ক্ষেত্রফল বর্গের পরিসীমা বর্গের কর্ণ কিছুই নির্ণয় করতে পারবো না। বর্গ একটি চতুর্ভুজ। যে চতুর্ভুজের চারটি বাহু সমান এবং প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ তাকে বর্গ বলে। গণিত বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বর্গের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে হয়। বাস্তব জীবনেও আমাদের বর্গাকার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রটি কাজে লাগে। যেমন একটি বর্গাকার জমির ক্ষেত্রফল কত হবে সেটা আমরা এখান থেকে বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের সূত্র জেনে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। তাই যে কোন জিনিস খুব ভালো করে শিখে রাখলে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সেটির প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র

তাই যে কোন জিনিস শিখলে শিখার মতই শিখতে হবে। আমরা আগেই বলেছি বর্গক্ষেত্র একটি চতুর্ভুজ । ত্রিভুজের তিনটি উপাত্ত দেওয়া থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই ত্রিভুজ নির্দিষ্ট ভাবে আঁকা সম্ভব কিন্তু চতুর্ভুজের চারটি বাহু দেওয়া থাকলেই একটি নির্দিষ্ট চতুর্ভুজ আঁকা যায় না নির্দিষ্ট চতুর্ভুজ আঁকার জন্য পাঁচটি স্বতন্ত্র উপাত্ত এর প্রয়োজন হয়। তাই এই পাঁচটি উপাত্ত জানতে হবে। কারণ চতুর্ভুজ টি হতে পারে বর্গ, হতে পারে আয়ত, হতে পারে সামন্তরিক, হতে পারে ট্রাপিজিয়াম। সেই কারণে চতুর্ভুজের চারটি পাঁচটি উপাত্ত অবশ্যই জানতে হবে।

এই পাঁচটি উপাত্ত সমূহ হলো চারটি বাহু ও একটি কোণ। চারটি বাহু ও একটি কর্ণ। তিনটি বাহু ও দুইটি কর্ণ। তিনটি বাহু ও এদের অন্তর্ভুক্ত দুটি কোণ। এবং দুইটি বাহু ও তিনটি কোণ। তাই বর্গক্ষেত্রের একটি বাহু দৈর্ঘ্য দেওয়া থাকলে বর্গক্ষেত্রটি আঁকা যায়। একটি কর্ণের দৈর্ঘ্য দেওয়া থাকলে বর্গক্ষেত্রটি আঁকা যায়। কারণ বর্গক্ষেত্রের দুইটি কর্ণই সমান হয়। আবার প্রত্যেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য যেহেতু সমান হয় সেই জন্য বর্গক্ষেত্রের একটি বাহু দেওয়া থাকলেই বর্গক্ষেত্রটি আঁকা সম্ভব হয়।

যেহেতু বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজ অঙ্কনের জন্য অনেক সময় বিশেষ উপাত্ত দেওয়া থাকে যা নির্দিষ্ট চতুর্ভুজ আঁকার জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচটি স্বতন্ত্র উপাত্ত পাওয়া যায় তাহলে ওই উপাত্তের সাহায্য চতুর্ভুজটি আঁকা যায়। তাই বর্গক্ষেত্রের বর্গের মাত্র একটি বাহু দেওয়া থাকলেই বর্গক্ষেত্রটি আঁকা যায় । কারণ তাতে পাঁচটি উপাত্ত যথা বর্গের চার বাহু ও এক কোণ যেহেতু কোনটি সমকোণ হয় সেজন্য নির্দিষ্ট হয়। তাহলে আমরা দেখে নিতে পারি বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্রটি। অতএব বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল=(বর্গক্ষেত্রের বাহু গুন বাহু) বর্গ একক।

যেহেতু বর্গক্ষেত্রের সকল বাহুর দৈর্ঘ্য সমান তাই দুইটি বাহু গুণ করলেই বর্গক্ষেত্রটির ক্ষেত্রফল পাওয়া যাবে। তাহলে তোমরা তোমাদের সকল উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে এবং এখানেই পেয়ে যাবে তোমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর। এবং প্রয়োজনে তোমরা এখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে নিতে পারবে। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে কোন এক্সট্রা চার্জ প্রয়োজন হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *