ণ দিয়ে শব্দ গঠন

বাংলা ভাষায় এমন কিছু বর্ণ রয়েছে যেগুলোর উচ্চারণ প্রায় একই রকম। এই দেখুন না, ণ ও ন কে। এই দুজন দেখতে যেমন প্রায় একই রকম, এদের উচ্চারণও প্রায় এক। দেখতে একই রকম হয় অনেকেই এই দুটোকে গুলিয়ে ফেলেন। তাছাড়াও উচ্চারণে ও আমরা ভুল করে ফেলি। যদিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই ভুলগুলো খুব একটা ক্ষতি করে না। তবে আমরা বাঙালি কিনা। বাঙালি হিসেবে আমাদের বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বাংলা ভাষার প্রতিটি শব্দের সঠিক অর্থ জানার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রতিটি শব্দের সঠিক উচ্চারণ করতে হবে। প্রতিটি শব্দের বানান সঠিকভাবে না জানলে কিছু সমস্যা তো হয়েই যায়। ধরুন, আপনার অনেকেই ভাবেন বাংলা ব্যাকরণ আমাদের জীবনে খুব একটা প্রভাব ফেলে না।

এই ভুল ভাবনাটাই আমাদের ব্যক্তিত্বকে অনেকটা দুর্বল করে ফেলে। ব্যক্তিত্ব শক্তিশালী করতে হলে শুদ্ধ ভাষার প্রয়োগ করতে জানা দরকার। ভাষার মধ্যে আঞ্চলিকতা থাকলেও তা যেন শ্রোতার কোন ধরনের সমস্যা তৈরি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলা ভাষা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। এক অঞ্চলের ভাষা অন্য অঞ্চলের মানুষ খুব একটা বুঝতে পারে না। এ কারণেই বইপত্রে চলিত ভাষা ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ চলিত ভাষা বুঝতে পারে। এতে কোন ধরনের আঞ্চলিকতার ছোঁয়া থাকে না। তাই আমাদের উচিত শুদ্ধ বাংলা ভাষা বলতে ও লিখতে শিখা। শুদ্ধ বাংলা ভাষা বলতে ও লিখতে শিখলে খুব সহজেই আমরা যে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে পারব।

ন ও ণ এর মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।ন ও ণ দিয়ে যে শব্দগুলো রয়েছে তার সবগুলোতেই আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ন ব্যবহার করে ফেলি। এ কাজগুলো করা মোটেও ঠিক নয়। আমরা যখন কোন চাকরির পরীক্ষা দিতে যাব অথবা ভাইবা বোর্ডে এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হব তখন আমাদের অপমানিত হতে হবে কারণ আমরা বাঙালি হয়েও শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে ও লিখতে পারছি না। আপনারা যেন কখনো এ ধরনের সমস্যায় না পড়েন এ কথা ভেবেই আমরা ণ দিয়ে যে শব্দগুলো তৈরি করা যায় তার সবগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আমাদের বিশ্বাস এই শব্দগুলো আপনারা ভালোভাবে পড়ে নিবেন এবং বানানগুলো খুব ভালোভাবে খেয়াল করবেন যেন পরবর্তী কোনো পরীক্ষায় অথবা ভাইভা দিতে গেলে অপমানিত হতে না হয়। পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা কিন্তু মোটেও কম নয়। আমাদের দেশ ছাড়াও প্রায় অনেক দেশেই বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয়। তাই এমনটা কখনোই ভাববেন না যে বাংলা ভাষা সঠিকভাবে শিখলে আপনি সময়ের অপব্যবহার করবেন। যারা নিয়মিত লেখালেখি করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লেখালেখির মধ্যে বানান ভুল করলে কখনোই আপনি একজন দক্ষ লেখক হতে পারবেন না। আশা করি লেখালেখি শুরুর আগে বানানের প্রতি আলাদাভাবে মনোযোগ দিবেন। ণ দিয়ে কিছু শব্দ হলো ঋণ ,ঘৃণা, রণ ,বর্ণ, ভূষণ ইত্যাদি। আপনার নিশ্চয়ই ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানের কথা শুনেছেন। ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান ভালোভাবে পড়ে নিলে আপনার জন্য শব্দ গঠন আরো সহজ হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *