এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি

প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একজন মুসলমানকে গুরুত্ব সহকারে পড়তে হয়। তারমধ্যে দিনের শুরুতে ফজরের নামাজ এবং রাত্রে ঘুমানোর আগে এশার নামাজ পড়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা অনেকেই এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি এই সব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলের ও বিভিন্ন জায়গাতে অনুসন্ধান করছেন। আর এসব প্রশ্নের উত্তর সঠিক জানতে হলে আপনাকে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে, তাই বিশেষ করে আজ আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি এই প্রসঙ্গে আলোচনা করব। আপনারা যারা এশার নামাজ সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন আর দেখে নিন আপনার অজানা প্রশ্নের উত্তরটি।

সকল প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে অন্যতম হলো এশার নামাজ। এশার সর্বমোট মূল নামাজ ১০ রাকাত, চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা এই সর্বমোট ১০ রাকাত নামাজ এশার। কিন্তু একজন মুসলিম ব্যক্তিকে এশার নামাজ সম্পূর্ণ পড়তে হলে বিতর নামাজ সহ ১৫ রাকাত আদায় করে এশার নামাজ শেষ করতে হবে। ফরজ নামাজ পড়ার পূর্বে চার রাকাত সুন্নত ও ফরজ নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আমরা অনেকেই জানি এশার ফরজ নামাযের পূর্বে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে। তবে এটা ঐচ্ছিক নামাজ। এই নামাজ পড়াটা উত্তম কিন্তু কোন কারণবশত দিতে এটা আপনি না করেন সে ক্ষেত্রে গুনার অংশীদারিত্ব হবেন না আপনি।

৪ রাকাত ফরজ নামাজ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করতে হয়, এই চার রাকাত নামাজ ইমামের সঙ্গে জামাতের সঙ্গে পড়লে সাতাশ গুন সওয়াব বেশি। কিন্তু একান্ত কোন কারণবশত ইমামের সঙ্গে এই ৪ রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে না পারলে পরবর্তী নিজে নিজে নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে। তবে জামাতে ৪ রাকাত ফরজ নামাজের পর, ২ রাকাত এশার সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাজ রয়েছে। এই দুই রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ পড়া আবশ্যক। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তিনি এই শেষের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ কখনই নিজ ইচ্ছায় ছাড়েননি। তাই তার উম্মত হিসেবে আমাদের এই দুই রাকাত নামাজ ছাড়াটা উচিত না।

আর এই দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে অনেকে আবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে থাকেন তবে এই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় কোন বাধ্যবাধকতা নেই কারণ এটা নিজের জন্য নামাজ এখানে কোন নির্দিষ্ট কোন সময় নেই আপনি যখন ইচ্ছা এই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আর এই দুই রাকাত নফল নামাজের পর পরবর্তীতে তিন রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতে হয়,তবে হাদীসে পাওয়া যায় বেতের নামাজ নিজে একটি নামাজ, এশার নামাজের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এটি পড়ার নির্দেশ মূলত রাতের শেষ প্রহরে উঠে তাহাজ্জুদ নামাযের পর পড়া টা উত্তম।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা শুরু থেকে শেষ অব্দি এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলাম, আপনারা যারা এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমাদের এখান থেকে এসে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *