প্রতীক ও সংকেতের পার্থক্য

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়ু পানি লোহা খাদ্যদ্রব্য বই পুস্তক চোখ ইত্যাদি নানারকম জিনিস বা পদার্থ ব্যবহার করে থাকি। এদের মধ্যে কোনটি মৌলিক পদার্থ আবার কোনটি যৌগিক পদার্থ আবার কোনটি বিভিন্ন মিশ্র পদার্থের হয়ে থাকে। আবার এই সকল পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ থাকে মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম পরমানু এবং ক্ষুদ্র যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের নাম অনু। এবং অন্য ও পরমাণু গুলি প্রতীক সংকেতের মাধ্যমে লিখা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ১১৮ টি মৌলিক পদার্থ আবিষ্কৃত হয়েছে যার মধ্যে আমরা আটানব্বইটি প্রকৃতিতে পাই এবং বাকি বৃষ্টির কৃত্রিমভাবে তৈরি মৌলিক পদার্থ হয়। প্রতিটি মৌলিক পাড়াতড়ি একটি নাম আছে একথা আমরা জানি।

আর এদেরকে সংক্ষিপ্ত এবং সুবিচার জনক ভাবে প্রকাশের জন্যই প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করা হয়। এই প্রতীকগুলি সাধারণত মৌলের ল্যাটিন বা গ্রিক বা ইংরেজি নামের একটি বা দুইটি অধ্যক্ষর দ্বারা প্রকাশিত করা হয়। একটি অক্ষর দিয়ে প্রকাশিত প্রতীকের ক্ষেত্রে সর্বদাই আমরা বড় হাতের অক্ষর আর দুইটি অক্ষর দিয়ে প্রকাশিত প্রতীকের ক্ষেত্রে প্রথমটি বড় হাতের অক্ষর এবং পরেরটি ছোট হাতের অক্ষর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ মৌলের নাম গুলি যখন কোন সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে প্রতীক বলা হয়।

এই প্রতিকগুলি মৌলটির ইংরেজি বাকরিক বা ল্যাটিন নামের অধ্যক্ষ বা প্রথমে অক্ষর অথবা উচ্চারিত যেকোনো দুই একটি অক্ষর দিয়ে হয়ে থাকে। যেমন বলা যায় হাইড্রোজেনের প্রতীক H, হিলিয়ামের প্রতীক He, লিথিয়ামের প্রতীক Li, বেরিলিয়ামের প্রতীক Be, বোরনের প্রতীক B, কার্বনের প্রতীক C নাইট্রোজেনের প্রতীক N, অক্সিজেনের প্রতীক O ফ্লোরিনের প্রতীক F, লোহার প্রতীক Fe হয়ে থাকে। আবার আমরা জানি যে দুই বা ততোধিক পরমাণু একত্র যুক্ত হয়ে অণু তৈরি করে।

একটি অণুতে কি কি পরমাণু আছে সেটা জানা যায় সংকেত থেকে। আসলে অনুর সংক্ষিপ্ত প্রকাশই হল সংকেত। একটি অনুরোধ যে যে মৌলের পরমাণু দিয়ে গঠিত আসলে সেসব মূলের প্রতীক দিয়েই সংকেত লেখা হয়। আমরা তাই এবার সংকেত সম্পর্কিত কিছু তথ্য দেখে নিই। কঠিন বা তরল মৌলিক পদার্থের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা যায় অনেক পরমাণু একসাথে থাকে কোন অনুগঠন করেনা তারা তাই এ ধরনের মৌলিক বা মৌলের ক্ষেত্রে অনুর সংকেত লেখা হয় না। যেমন বলা যেতে পারে সোডিয়াম লোহা কপার এ সকল মৌলের সংকেত লেখা হয় না। তবে গ্যাসীয় মৌল সমূহের ক্ষেত্রে সাধারণত দুইটি পরমাণু যুক্ত হয়ে অনুগঠন করে।

অর্থাৎ ওই পদার্থটি দুইটি পরমাণু একত্রে করে একটি অনু গঠন করে থাকে। এজন্য তাদের সংকেত লেখা হয় প্রতীকের নিচে ডান পাশে ছোট করে দুই লিখে। তাদের সংকেত গুলি হয় এরকম যেমন অক্সিজেনের সংকেত O2 নাইট্রোজেন এর সংকেতN2 ইত্যাদি। আবার যৌগিক পদার্থের সংকেত থেকে বোঝা যায় যৌগটি কি কি মৌল বা পরমাণু গুচ্ছ দিয়ে কি কি অনুপাতে আছে তা। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে পানির সংকেত H2O থেকে বোঝা যায় যে এর মধ্যে দুইটি অনু হাইড্রোজেন এবং একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে পানি তৈরি হয়। তাহলে আমরা আরো কিছু সংকেত দেখে নিতে পারি যেমন: সোডিয়াম ক্লোরাইড এর সংকেত NaCl ক্যালসিয়াম অক্সাইড এর সংকেত CaO পটাশিয়াম আয়োডাইড এর সংকেত KI ইত্যাদি। তাহলে আমরা প্রতীক এবং সংকেতের সকল তথ্যগুলি এখানে উপস্থাপন করলাম।

আপনারা অবশ্যই আমাদের এই উপস্থাপিত তথ্যগুলি থেকে পার্থক্যগুলি দেখে নিবেন। এবং এখান থেকে পার্থক্যগুলি অবশ্যই পৃথক করে নিতে পারবেন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্যগুলি দেখে নিবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতেও পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন অর্থের খরচ হয় না তাই আপনারা এই কাজটি অনায়াসেই করে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *