ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে পার্থক্য

বর্তমান আধুনিক যুগে অনেক বসতে শিল্প কারখানায় তৈরি হয়। অর্থাৎ বর্তমানে দুই ধরনের পণ্য আমরা আমাদের চারপাশে দেখতে পাই একটি হচ্ছে জমিতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য অপরগুলি শিল্প পণ্য। এই শিল্প পণ্য গুলি বিভিন্ন ধরনের শিল্পপন্ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ কুটির শিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্য ক্ষুদ্র শিল্প বৃহৎ শিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্য ইত্যাদি হয়ে থাকে। তাই আমরা শিল্প পণ্য বলতে বিভিন্ন ধরনের শিল্পপন্ন কথা বুঝে থাকে। পরিবারের সদস্যদের দ্বারা একেবারে পারিবারিকভাবে পারিবারিক পরিবেশে গড়ে ওঠা শিল্পকেই কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে। আবার অপরদিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন বা অংশীদারি বা সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা স্বল্প পুঁজিতে স্বল্প কর্মচারী নিয়ে গঠিত শিল্প কারখানা ক্ষুদ্র শিল্প বলে বিবেচিত হয়। তাই বলা যায় যে যেসব শিল্পকারখানায় বৃহৎ শিল্পের তুলনায় কম মূলধন এবং মূলধনের তুলনায় বেশি শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এই ধরনের শিল্প-কারখানাকে আসলে ক্ষুদ্র শিল্প বলা হয়।

আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠেছে। এবং এই শিল্প কারখানার বদৌলতে বা এই ক্ষুদ্র শিল্পের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। তাই এই ক্ষুদ্র শিল্প গুলিকে যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ভালোভাবে লালন-পালন করা যায় তাহলে অবশ্যই এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক রেমিটেন্স আমরা পেতে পারি। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে কুটির শিল্প অবস্থিত। এবং কুটির শিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলিও বিদেশে খুব চাহিদা রয়েছে। এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন উৎপাদিত পণ গুলি বিদেশে ঠিকমতো রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জন করতে পারি। কুটির শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্য বাঁশের তৈরি বিভিন্ন বিভিন্ন পণ্য এছাড়া নকশি কাঁথা জাতীয় অন্যান্য কথাগুলি বিদেশির বাজারে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা থাকায় এই শিল্পের অনেক সুনাম রয়েছে।

তাই আমরা যদি এই শিল্পকে ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করে এবং এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যদি সচেষ্ট হওয়া যায় তাহলে এই কুটির শিল্পের জন্য সোনালী সুদিন অপেক্ষা করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠিত আছে। আমাদের তৃতীয় বিশ্বের অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশগুলির তে
কুটির শিল্প জীবিকা নির্বাহের বিষয় হলেও উন্নত দেশগুলোতে এই শিল্পটি শখের বসেই করা হয়ে থাকে। কুটির শিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্য বলে ধনী দেশের লোকেরা আরাম-আয়েস বা বিলাসিতার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তাই ক্ষুদ্র শিল্প ও কুটির শিল্প আমাদের বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি বিষয়। যেহেতু আমাদের জানাবহুল দেশ এই জনবহুল দেশে কর্মসংস্থানের জন্য দুই শিল্পী আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিটি পরিবারের বা গ্রামের লোকের পরিবারে যখন দুপুরের খাবারের পার্থক্য হল সময় থাকে সেই অলস সময়ে মেয়েরা তাদের হাতের কাজগুলো করে থাকে। এবং যদি এই কাজগুলোর মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করতে পারে তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য এবং দেশের জন্য ভালো হয়। তাই আমরা যদি এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখি বা এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাই তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য অনেক উপকার হয়। এবং সর্বোপরি দেশের লোকেরই ভালো হয়। তাই আমরা ক্ষুদ্র শিল্প বলি বা কুটির শিল্প বলি দুই শিল্পই যদিও সমর্থকভাবে ব্যবহার করে থাকি তারপরেও দুটি আলাদা বিষয়। আমাদের এই আলোচনা থেকে এতক্ষণে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে শিল্প দুটি আলাদা। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষার সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য উপাত্তগুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে যে ধরনের তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হয় সে তথ্য গুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য-উপাত্তা গুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *