সালোকসংশ্লেষণ মূলত উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া। যদিও এটি আমরা বলছি উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া তারপরেও আসলে বলতে গেলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি সমগ্র জীবজগতের জন্যই অর্থাৎ প্রাণী জগতের খাদ্য গ্রহণের বা খাদ্য দলের প্রক্রিয়া হিসেবে বললে হয়তো খুব একটা কম বলা হবে না। কারণ উদ্ভিদ বাঁচলে সমস্ত প্রাণীজগত বেঁচে থাকবে। প্রাণী জগত যেহেতু উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল তাই উদ্ভিদ সকল জীবজগতের উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। আর উদ্ভিদ খাদ্যের মাধ্যমে বেঁচে থাকে উদ্ভিদ বেঁচে থাকলে প্রাণীরাও বেঁচে থাকবে এই কারণে বলা যে সমগ্র প্রাণীজগতের জন্যই খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়ায় হল সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ পাতার ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক এবং বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতিতে সে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপাদন করে। এবং এই খাদ্য সমগ্র উদ্ভিদ দেহে ছড়িয়ে পড়ে যার কারণে উদ্ভিদ বেঁচে থাকে।
আলোর উপর থেকে ক্লোরোপ্লাস্ট বায়ু থেকে গৃহীত কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং মাটি থেকে গৃহীত পানির সংমিশ্রণে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়। এই উৎপন্ন খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ চলে যায় এবং উদ্ভিদের প্রতিটি কোষী এই খাদ্য ব্যবহার করে শাসন প্রক্রিয়ায় তার বিপাকীয় কাজ চালানোর প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান পায়। আবার এই কাজের পর যতটুকু খাদ্য অবশিষ্ট থাকে সেই খাদ্যগুলো উদ্ভিদের বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে সঞ্চিত ও থাকে। যার কারণে বিভিন্ন ফল এবং বেজ ছাড়াও কান্ড মূল কিংবা পাতাতে ও এই খাদ্য জমা রাখার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। আমরা যখন দেখি গোল আলু মাটির নিচে তৈরি হয় আসলে মূলত সালোকসংশ্লেষণ এর মাধ্যমে উৎপাদিত খাদ্য এই আলুর মধ্যে সঞ্চিত রাখে এ ধরনের আরেকটি কথা বলা যায় সেটি হচ্ছে মূলে খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা এই মন যেমন মিষ্টি আলো পরবর্তীতে এই আলু এবং মিষ্টি আলু উভয় প্রকার খাদ্যই আমরা বা প্রাণীরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
এবার আসা যাক শ্মশান সম্পর্কিত আলোচনায় জীবের জীবনধারণ অর্থাৎ চলন ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি প্রজনন জনন প্রভৃতি জৈবিক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য শক্তির অবশ্যই প্রয়োজন হয়। তাহলে উদ্ভিদের এই শক্তি উৎস কোথায় কোথা থেকে আসে এই শক্তি? আমরা জানি যাবতীয় শক্তির উৎস হচ্ছে সূর্যালোক বা সূর্য। সালোকসংশ্লেষণের সময় উদ্ভিদ সৌরশক্তিকে শর্করা জাতীয় খাদ্য বস্তুর মধ্যে স্থিতিশক্তির উপর সঞ্চয় করে রাখে এবং এই সঞ্চয়কৃত খাদ্যই জিপ তার জীবন ধারণের জন্য সরাসরি ব্যবহার করতে পারে না। শাসনের সময় জীবদেহে এই স্থিতিশক্তি রাসায়নিক শক্তি হিসেবে তার রূপে মুক্ত হয় এবং জীবের বিভিন্ন শাড়ির বৃদ্ধি ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিয়ে থাকে।
এই কারণে বলা যায় যে শর্করা জাতীয় খাদ্য বস্তু ছাড়াও প্রোটিন ফ্যাট এবং বিভিন্ন জৈব এসি ড শাসনিক বস্তুরূপে ব্যবহৃত হয় জীবদেহে এই জটিল যৌগগুলো প্রথমে ভেঙ্গে স্মরণযোগে পরিণত হয় এবং পরে তা জারিত হয়ে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আমরা জানি সাধারণ তাপমাত্রায় যুদ্ধের প্রতিটি কোষে দিবারাত্রি 24 ঘন্টায় শাসন ক্রিয়া চলতে থাকে। তবে উদ্ভিদের 3 অঞ্চলে যেমন ফুল ও পাতার কুড়ি অঙ্করিত বীজ মূল এবং কাণ্ডের অগ্রভাগ ইত্যাদি জায়গায় শাসন ক্রিয়ার হার অনেক বেশি হয়ে থাকে। অর্থাৎ সজীব কোষের সাইটোপ্লাজম ও মাইট্রোকন্ডিয়াতে শাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আর এই কারণে মাইট্রোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তিঘর হিসাবেও বলা হয়ে থাকে।
তাই বলা যায় শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি দিয়ে জীবের সব ধরনের ক্রিয়া বিক্রিয়া এবং কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এবং শ্বসনে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড জীবের প্রধান খাদ্য শর্করা উৎপন্নের জন্য সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই আমরা আমাদের এই লেখায় শাসন এবং সালোকসংশ্লেষণের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হলো আপনারা অবশ্যই ফ্যাশন এবং সালোকসংশ্লেষণ এর মধ্যে পার্থক্য গুলি অবশ্যই করে নিতে পারবেন।