জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেট এর মধ্যে পার্থক্য

সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি যে- জজ হলেন সাধারণত দেওয়ানি মামলা বিচারক, যিনি দেওয়ানী মামলাগুলোর বিচার করে থাকেন তাকে জজ বলে জেনে থাকি। অপরপক্ষে বলা যায় যে যারা ফৌজদারির মামলার বিচার করে থাকেন তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট বলা হয়ে থাকে। তবে এখানেও কথা থাকে যে জব হতে হলে তাকে অবশ্যই আইন নিয়ে পড়াশোনা করে এবং আইনের পরীক্ষা দিয়ে সেখানে অর্থাৎ বিচারকার্যে নিয়োজিত হবার জন্য প্রবেশ করতে হয়। অপরপক্ষে ম্যাজিস্ট্রেটকে তিনি প্রশাসনিক বিসিএসে অর্থাৎ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই পেশায় আসতে পারেন। দুইজন ব্যক্তিরই বিচারক ক্ষমতা আছে তবে বিচারিক ক্ষমতা গুলি আলাদা আলাদা।

ম্যাজিস্ট্রেটের আইনের ডিগ্রি ছাড়াই তিনি ম্যাজিস্ট্রেট হন অর্থাৎ তিনি সাধারণ লেখাপড়ায় শিক্ষিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেটের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল তিনি অবশ্যই করতে বসে বিচার কাজ চালাবেন না বা বিচার কাজ করেন না। অপরপক্ষে জজ হতে হলে তাকে অবশ্যই জুডিশিয়ারি পরীক্ষা দিয়ে রীতিমতো পাস করার পরেই তার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এক কথায় বলা যায় যে আইনের ডিগ্রী না থাকলে কখনো জজ হওয়া যাবে না। আর জাজ পথটি প্রমোশনের মাধ্যমে অর্জন করে থাকেন বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে নয়। তাই বলা হয় জজ শব্দের অর্থ বিচারক হলেও এই নামে কোন পদ বাংলাদেশের আইন বিভাগে নেই আইন বিভাগে নেই। জল শব্দের আগে অবশ্যই তার কোয়ালিফায়িং শব্দ বসে থাকে। এই শব্দ গুলি হল ডিস্ট্রিক্ট জজ বা সেশন জজ সহকারি জজ ইত্যাদি।

তাই আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট এবং জজ এই দুটি শব্দ বা পথ বুঝতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই আইন বিভাগের পথগুলি সম্পর্কে জানতে হবে বা বিচার বিভাগের কাঠামো সম্পর্কে অবগত হতে হবে। আমরা জানি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দুই ধরনের মামলা বা মোকদ্দমা হয়ে থাকে। তাহলে প্রথমে আসা যাক দেওয়ানী মামলা দিয়ে

দেওয়ানি মোকদ্দমা: দেওয়ানী মোকদ্দমাটি হল ব্যক্তির সম্পত্তি বা পদ সংক্রান্ত অধিকার বিষয়ক বিবাদ যদি থাকে তার জন্য মামলা করাটাই হচ্ছে দেওয়ানী মোকদ্দমার মধ্যে পড়ে। এখানে মামলা করলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় সুনির্দিষ্টভাবে অথবা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। যে সকল আদালতে এ ধরনের মামলা করা হয় তাদের বিচারকদের পদের নাম হল সহকারী জজ বা সিনিয়র জজ যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত জেলা জজ।

ফৌজদারী মামলা: এটি কোর্টে মামলা করতে হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি অথবা সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য যে ধরনের মামলা করা হয় তা ফৌজদারি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ২০০৭ সালে নভেম্বরে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ পৃথক হওয়ার পরে বাংলাদেশে তখন থেকে দুই ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট প্রচলিত হয়। এই দুই ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট হল: জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ আদতে বিচারিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তারা বিভিন্ন ধরনের উচ্ছেদ অভিযান পাবলিক পরীক্ষা সম্পর্কিত কিছু বিষয় এর সাথে জড়িত হয়ে থাকেন। তাই পরিশেষে আমরা আবার বলতে পারি যে জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেট আলাদা হলেও জজ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আবার ম্যাজিস্ট্রেট থেকে জজ হওয়া যায়। একজন বিচারক প্রথমে বা প্রাথমিকভাবে সহকারি জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে পরবর্তীতে তিনি পদোন্নতির মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে জজ হন ।

তাহলে আমরা আমাদের এই পোস্টে জর্জ এবং ম্যাজিস্ট্রেট সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্যই উপস্থাপন করা হলো। এই উপস্থাপিত তথ্য থেকে আপনারা অবশ্যই জর্জ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের পার্থক্য বুঝে যাবেন। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইট টি তে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হয় এ ধরনের সকল তথ্য উপাত্তগুলি আমরা অত্যন্ত যত্নের সহিত প্রকাশ করে থাকি। আবার আমাদের এখান থেকে আপনারা সেই তথ্য উপাত্ত গুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থ প্রয়োজন হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *