হাব এমন একটি জিনিস যার মাধ্যমে কম্পিউটার গুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। অপরদিকে সুইচ হল বহু পোর্টবিশিষ্ট কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিভাইস যেটির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। দুই এর অধিক কম্পিউটারের মধ্যে যদি আমরা নেটওয়ার্ক তৈরি করি তাহলে তার জন্য অবশ্যই একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের প্রয়োজন পড়ে। কারণ এই কেন্দ্রীয় ডিভাইসটির মাধ্যমেই সকল কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক জুড়ে দেওয়া যায়। কেন্দ্রের এই ডিভাইসকেই হাব বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ বলা যায় যে হাবের মাধ্যমেই কম্পিউটারগুলো পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর কম্পিউটারে যদি হাফ ব্যবহার করা হয় তাহলে খরচ অনেক কমে যায় বা খরচ কম পড়তে পারে বলেই হাফ ব্যবহার করা অত্যন্ত সাশ্রয়ী।
অপরপক্ষে সুইস ব্যবহার করলে বাইরে থেকে সুইচ হাবের মত দেখতে হলেও এটি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের ক্লায়েন্টের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে এই কারণে সুইস এবং হাত দুটি ভিন্ন জিনিস হয়ে থাকে। তাই শুয়েছিল বহু বটবিশিষ্ট কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং যার মাধ্যমে তথ্যগুলি বিভিন্ন কম্পিউটারের মাধ্যমে আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এখন তাহলে আমরা হাব ও সুইচের মধ্যে যে বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সে পার্থক্যগুলি এখন আমরা দেখতে পারি। যেহেতু ভাব এবং সুইস দুইটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত বিষয় তাই আমরা হাফ এবং সুইচ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার মাধ্যমে নিচে তাদের মধ্যে কার পার্থক্য তুলে ধরলাম। নিচে দেওয়া পার্থক্যগুলি লক্ষ্য করলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই ভাব এবং সুইচ এর মধ্যে কার পার্থক্যগুলি দ্বারা অবশ্যই অনায়াসেই মনে রাখতে পারবে। তাহলে নিচে উল্লেখ করা হবে এবং সুইচ সম্পর্কিত পার্থক্যগুলি এখন আমরা দেখে নিতে পারি।
১. হাব সাধারণত ডেটা আদান-প্রদানে অনেকাংশে বাধার সৃষ্টি হতে পারে তবে সুইচের ক্ষেত্রে ডাটা আদান-প্রদানে কোন বাধার আশঙ্কা থাকে না।
২. হাব ডাটা সিগনাল প্রাপক কম্পিউটারের সব বোর্ড পাঠায় অর্থাৎ নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের কাছেই পাঠানো হয়ে থাকে আর অন্যদিকে শুয়েছে এরকম কম্পিউটার থেকে সাধারণত সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় প্রাপক কম্পিউটারের কাছে সুইচ পদ্ধতিতে ডেটা পাঠানো হয়।
৩. হাব এর ক্ষেত্রে পোর্ট কম হয় তার কারণ অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরিতে হাব ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে শুয়েছে পোস্ট বেশি হয় অর্থাৎ অনেক বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
৪. হাব অনেক সময় বেশি লাগে কিন্তু সুইচের সময় অনেক কম লেগে থাকে।
৫. ভাবের ক্ষেত্রে ডেটা আদান-প্রদানে খুব একটা বেশি নিরাপত্তা থাকে না অর্থাৎ এখানে নিরাপত্তা কম থাকে আবার অপরপক্ষে শুয়েছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আছে অর্থাৎ এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক বেশি।
৬. সকল নেটওয়ার্ক কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে হবে অনেক কম খরচ পড়ে তবে এইভাবে সকল কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা আদান প্রদান করার জন্য শেষ পদ্ধতিতে অনেক বেশি খরচ পড়ে। অর্থাৎ সুইচে খরচ বেশি পড়ে।
আমরা আমাদের এই আলোচনায় হাব এবং সুইচের সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য তুলে ধরা হলো যাতে পাঠকেরা বিস্তারিতভাবে আমাদের এই লেখা থেকে ভাব এবং সুইচ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পায়। হাব এবং সুইচ সম্পর্কিত যে ধারণা গুলি আমরা এখানে তুলে ধরেছি তা থেকে এবং দেওয়া বিভিন্ন পার্থক্য থেকে হাফ এবং সুইচ এর পার্থক্য গুলি পাঠকেরা অবশ্যই বুঝতে পেরেছে বলে আশা করি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় সম্পর্কিত অত্যন্ত সহজ সরল সাবলীল ভাষায় আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের জীবনের প্রয়োজনীয় যেকোনো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং দেখে নিন আপনার প্রয়োজনের তথ্যটি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নেওয়া যায়।