আমাদের এই পৃথিবী একটি বিচিত্র গ্রহ। পৃথিবীতে যেমন আছে গভীর সমুদ্র তেমনি রয়েছে সূর্য পাহাড় পর্বত মালভূমি ইত্যাদি। সমুদ্রের গভীর বা স্থল দেশ এক ধরনের বৈচিত্র্যময় আবার পাহাড়-পর্বতের পরিভাষ্য অনেক বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। আজকে আমাদের পাহাড় এবং পর্বত সম্পর্কে ধারণা প্রদান করতে হবে এবং পাহাড় ও পর্বতের মধ্যে পার্থক্য দেখাতে হবে। তাহলে প্রথমে আমরা দেখি পাহাড় কাকে বলে?
পাহাড়: সমুদ্রতলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ থেকে ১০০০ মিটার উঁচু স্বল্প বিস্তৃত শিলাস্তূপ পাহাড় নামে পরিচিত হয়। যেমন: পাহাড়ের উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে চন্দ্রনাথ পাহাড় গারো পাহাড় ইত্যাদি।
পর্বত: সমুদ্রতলদেশ থেকে প্রায় এক হাজার মিটার বেশি উঁচু এবং পাহাড়ের চাইতে সুবিসৃত এবং খাড়া ঢাল বিশিষ্ট শিলাস্তুকে পর্বত বলা হয়ে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে পাহাড়ের চাইতে পর্বত বেশি উঁচু হয়ে থাকে।
পাহাড় পৃথিবীর সমতল ভূমি থেকে অনেক উঁচু হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশ অনেক পাহাড় এবং পর্বত রয়েছে। এই পাহাড় গুলি রয়েছে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় ময়মনসিংহ রয়েছে গারো পাহাড় ইত্যাদি। আমাদের এই পাহাড়ি অঞ্চলে অধিবাসীরা পাহাড়ের গায়ে বিভিন্ন ধরনের জুম চাষ করে থাকেন। সমতল ভূমি থেকে পাহাড়ি এলাকায় পরিবেশ অনেক আলাদা হয়ে থাকে। এখানে জনজীবন অনেকটা কষ্টকর হয়ে থাকে। তারপরেও যারা পাহাড়কে ভালবাসে তারা এই উঁচু-নিচু অসমতল এ শোভন এলাকায় বসবাস করে। শুধু তারা এখানে বসবাস করে তাই নয় এসব পাহাড়ি এলাকা থেকে বা অঞ্চল থেকে পাহাড়ে বিভিন্ন চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
এ অঞ্চলের অধিবাসীরা তাদের নিজের প্রয়োজনীয় সকল জিনিসই তারা উৎপাদন করে থাকে। অর্থাৎ তাদের জীবন জীবিকার জন্য খাদ্য তারা পাহাড়ের গায়ে জুম চাষের মাধ্যমে ফুলিয়ে থাকে আবার তাদের পরনের অর্থাৎ পরিধানের বস্ত্রগুলি তারা বিভিন্নভাবে তৈরি করতে পারে তারা নিজেরাই। তাই বলা যায় পাহাড়ীরা অনেকাংশে নিজেরা স্বনির্ভর জাতি হয়ে থাকে। আমাদের দেশের অনেক ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠীরা এই পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন। তারা আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই গর্ভের বিষয়। ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত ভূমিরূপ গুলি কে উচ্চতার হিসাবে বা উচ্চতার তারতম হিসেবে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগ্যলি হলো-পর্বত মালভূমি এবং সমভূমি। সমতল ভূমি থেকে সামান্য উচ্চতা বিশিষ্ট ভূমিকে মালভূমি বলা হয়।
আর মালভূমির থেকে উঁচু ভূমি বা শিলাস্তূপকে পাহাড় এবং পাহাড় থেকে বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট শিলাস্তূপ বা ভূমিকে পর্বত বলা হয়ে থাকে। পাহাড় ও পর্বতের মধ্যে যে পার্থক্য গুলি দেখা যায় তা এখন আমরা আলোচনা করব। পার্থক্য গুলি হল – পাহাড়ের সংজ্ঞা থেকে আমরা দেখেছি যে ভূপৃষ্ঠ থেকে অর্থাৎ সমতলভূমি থেকে সামান্য উচ্চতা বিশিষ্ট এবং বিস্তৃত হল পাহাড় নামে পরিচিত। আবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উচ্চতা বিশিষ্ট এবং সুবিশ্চিত অর্থাৎ একটানা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত খাড়া ঢাল বিশিষ্ট শিলাস্তুপ বা ভূমিরূপ কে পর্বত নামে অভিহিত করা হয়। পাহাড়ের উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি অজান্তা পাহাড় পরেশনাথ পাহাড় গারো পাহাড় চন্দ্রনাথ পাহাড় রাজমহল পাহাড় ইত্যাদি।
আবার পর্বতের উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি মাউন্ট এভারেস্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রভৃতি। উচ্চতার দিক থেকে দেখলে বলা যায় যে ৩০০ মিটারের অধিক এবং এক হাজার মিটারের কম উচ্চতা বিশিষ্ট ভূমিরূপ হল পাহাড় এবং সাধারণত ১০০০ মিটারের অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট সূচক সুবিস্তৃত ভূমিরূপই হল পর্বত। পাহাড় এবং পর্বত সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা আমাদের এই পোস্টে তুলে ধরলাম। পাহাড় এবং পর্বত সম্পর্কিত এই তথ্যগুলি থেকে আপনারা অবশ্যই আমরা যে পার্থক্যগুলি দিলাম এ বাদ দিয়েও যদি কোন পার্থক্য প্রয়োজন হয় অবশ্যই তা আপনারা করে নিতে পারবেন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন বলে আশা রাখি কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এ ধরনের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে আসে এ ধরনের সকল তথ্যগুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি।