তাপ ও তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য

তা হল একপ্রকার শক্তি। অর্থাৎ আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখতে পাই তাকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর একটি হল পদার্থ অপরটি শক্তি। তাই তাপ পদার্থ নয় এটি একটি শক্তি। যদি কোন বস্তুর উপর প্রয়োগ করলে বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় বা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে এটি তাপ শক্তি নামে বিবেচিত হয়। তাপকে পরিমাপ করার জন্য একটি একক রয়েছে। এস আই পদ্ধতিতে তাপের পরিমাপের একক হল ‘জুল’। আবার সি জি এস পদ্ধতিতে তাপের পরিমাপের এককের নাম ‘ক্যালরি’। অর্থাৎ এক কালারের তাপ সম্পূর্ণ রূপে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত যদি করা যায় তাহলে 4.2 জুল কাজ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আমরা এ কথা বলতে পারি যে এক ক্যালরি = 4.2 জুল। আবার একজন সমান বলা যেতে পারে ১ জুল= ০. ২৪ ক্যালোরি। তাপ পরিমাপের যন্ত্রের নাম ক্যালরিমিটার। আবার তাপের প্রবাহ তাপের পরিমাপের উপর নির্ভর করে না। কিন্তু তাপমাত্রার ওপর অবশ্যই নির্ভর করবে। তাই আমরা বলতে পারি দুটি বস্তুর তাপ এক হলেও এদের তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

তাপমাত্রা হচ্ছে বস্তুর বা কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থা। তাপমাত্রার এসআই একক হল কেলভিন। এই তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় থার্মোমিটার দ্বারা। অর্থাৎ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যখন বৃদ্ধি পায় তখন আমরা থার্মোমিটার দিয়ে সেই তাপমাত্রা পরিমাপ করি। যদি আমাদের তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে আমরা তখন বলি আমাদের জ্বর এসছে। পরম শূন্য তাপমাত্রাকে কেলভিন স্কেলে 0 k ধরা হয়। এবং সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেলে পরিমাপ করা হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়া স বা ২৭৩ কেলভিন কে প্রমাণ তাপমাত্রা বলে। আমার ২৬০ মিলিমিটার বা ৭৬ সেন্টিমিটার পারদ চাপকে প্রমাণ চাপ বলে। থার্মোমিটারে বা থার্মোমিটার স্কেলে পারদ ভরা থাকে।

পারদ একটি তরল ধাতু। আর এই কারণে ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা জানি তার প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রসারিত হয়। এবং এক্ষেত্রে ধাতু সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়। এবং ধাতুর এই প্রসারণের সবদিক থেকে সমানভাবে হয়। সকল কঠিন পদার্থই সমানভাবে প্রসারিত হয় না তা প্রয়োগে। লোহা এবং পিতলের প্রসারণ তা প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আবার এটি পরিলক্ষিত হয় যে তা অপসরণে লোহার চাইতে পিতল সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়ে থাকে।

আবার দেখা যায় তা প্রয়োগে কঠিন পদার্থের চেয়েও বাইবেলীয় পদার্থ সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়ে থাকে। কারণ বাইবে পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম। তাদের আন্তঃআণবিক দূরত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই তাপমাত্রা বলতে বলা যায় যে এটি হল একটি পরিমাণ যা গরম বা ঠান্ডা বা কোন অনু বা পরমানুর গড় গতিশক্তির পরিমাপ প্রকাশ পায়। তাপমাত্রা কোন বস্তুর উষ্ণতা প্রকাশের লক্ষণ মাত্র। বা কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থায়ই হচ্ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা সব সময়ই উষ্ণতর বস্তু হতে শীতলতম বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ আরো সহজ করে বললে বলা যায় যে তাপমাত্রা গরম হতে ঠান্ডার দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। তাই বলা যায় উষ্ণতা কোন বস্তুর মত তাপের পরিমাণ নয়। তাপের বা তাপমাত্রার পরিমাপ। অর্থাৎ এই তাপমাত্রা কোন বস্তুর কোন অংশের স্থানীয় তাপ জনিত আণবিক চাঞ্চলের পরিমাপের ওপর নির্ভর করে। তাই সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় যে তাপমাত্রা হলো কোন বস্তুর তাপের বহিঃপ্রকাশ।

আমরা এতক্ষণে তাপ এবং তাপমাত্রা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেখে নিলাম। তাই বলা যায় পাপ এবং তাপমাত্রা একই জিনিস নয়। তাপ হল এক প্রকার শক্তি এবং তাপমাত্রা হলো কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থাকে বোঝায়। তাই তাপমাত্রা এবং তাপ দুইটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করলে এ ধরনের সকল তথ্য গুলি আপনাদের সাহায্যে আসতে পারে। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করবেন এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যপত্র গুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিবেন আশা রাখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *