dna ও rna এর মধ্যে পার্থক্য

পৃথিবীর সব জীব বিদ্যার নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়ে থাকে। তাদের এই বৈশিষ্ট গুলি তাদের পূর্ব প্রজন্ম ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। অর্থাৎ এগুলি হচ্ছে জীবের জিনগত বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ এই সক্রিয় বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তী প্রজন্মে প্রায় অবিকল স্থানান্তর এবং প্রস্ফুটিত হয় পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে। তাই আমরা বলতে পারি ধানগাছের বীজ থেকে ধান গাছ এবং আমের বীজ থেকে আমগাছ উৎপন্ন হবে বা জন্মাতে পারে। তাই আমরা বলতে পারি যে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য গুলো বংশানুক্রমে সন্তান-সন্ততি দেহের সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়া নাম হল বংশগতি। মাতা পিতার বৈশিষ্ট্যাবলি তাদের সন্তান-সন্ততিতে সঞ্চারিত হয় বংশগতি বস্তুর মাধ্যমে। এই বংশগতি বস্তুগুলি হল ক্রোমোজোম, জিন, ডিএনএ(DNA) এবং আরএনএ (RNA) এগুলির মাধ্যমে।

ডিএনএ: ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান ডিএনএ হলো- ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড। ইংরেজিতে লিখলে লেখা যায় Deoxyribo Nucleic Acid. এফ ডি এন এ টি সাধারণত ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান। এটি সাধারণত দুই সূত্র বিশিষ্ট পলি নিউক্লিওটাইড এর সর্পিলাকার গঠন আকৃতির হয়ে থাকে। একটি সূত্র অন্যটির পরিপূরক হয়। এতে পাঁচ কার্বনযুক্ত শর্করার নাইট্রোজেন ঘটিত বেশ বা ক্ষার এবং অজৈব হস্পেট থাকে এর মধ্যে। এই তিনটি উপাদানকে একত্র করেই নিউক্লিওটাইড হয়। ক্রোমোজোমের স্থায়ী পদার্থই হচ্ছে ডি এন এ। এই ডিএনএর প্রথম বর্ণনা দেন মার্কিন বিজ্ঞানী ওয়াটসন এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী ক্লাক।

তারা 1953 সালে ডি এন এ অনুর ডাবল এক্সেল কাঠামোর বর্ণনা দিয়েছেন। এই ডিএনএ অনুর বর্ণনাতে তারা নোবেল পুরস্কার পান। নাইট্রোজেন বেসগুলো সাধারণত দুই ধরনের অর্থাৎ ইউরিন এবং পাইরি মিডিন নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। এডিনিন ও গুয়ানিন বেস হল পিউউরিন এবং সাইটোসিন ও থায়ামিন বেস হলো পাইরিমিডিন। আমরা দেখতে পাই একটি সূত্রের অ্যাডি নিন অন্য সূত্রের থায়ামিন এর সাথে দুইটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে এবং একটি সূত্রের গুয়া নিন অন্য সূত্রের সাইটসিনের সাথে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এই বন্ধন সর্বদা একটি পিউরিন এবং একটি বাইরে মদিনার মধ্যে থাকে। সুতরাং দুইটি সূত্রের একটি অন্যটির পরিপূরক কিন্তু একরকম হতে পারে না বা হয় না। তাই হেলিসে প্রতিটি পূর্ণ গুণ নন ৩৪ ডিগ্রি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এবং একটি পণ্য ঘূর্ণনের মধ্যে দশটি নিউক্লিওটাইড থাকে। এই কারণে পার্শ্ববর্তী দুইটি নিউক্লিয়টাইড এর দূরত্ব উপর থেকে নিচে হয়ে থাকে। এবার আসা যাক আরএনএ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে।

RNA হল রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। ইংরেজিতে লেখা যাবে Ribonucleic Acid. অধিকাংশ আরএনএ তে একটি পলিনিউক্লিওটাইড এর সূত্র থাকে। আর এন এ তে পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট রাইবোজ শর্করা অজৈব ফসফেট এবং নাইট্রোজেন বেস যাকে অ্যাডিনিন গোয়া নিন সাইটোসিন এবং থায়ামিনের পরিবর্তে ইউরাসিল থাকে। এই আর এন এ ভাইরাসের ক্রোমোজোমের স্থায়ী উপাদান হিসেবে আরএনএ পাওয়া যায়। অর্থাৎ আমরা একথা বলতে পারি যে সমস্ত ভাইরাস ডিএনএ দিয়ে গঠিত নয় তাদের নিউক্লিক এসিড হিসেবে থাকে আর এন এ। আর এইসব ক্ষেত্রে আর এন ই বংশগতির বস্তু হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই এখন আপনারা ডিএনএ এবং আরএনএ দুইটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এদের মধ্যে থেকে যে পার্থক্য গুলি পরিলক্ষিত হয় সেই পার্থক্যগুলি অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারলেন। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। আর এই ধরনের তথ্যগুলি আপনাদের নিতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদের বারবার ভিজিট করতে হবে।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারেন। আরেকটি কথা হল আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন সাবজেক্ট প্রয়োজন হয় না বিধায় আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দ কৃত প্রশ্নগুলি অনায়াসে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *