আমরা জানি অস্থি দিয়ে তৈরি শক্ত কাঠামো ছাড়া দেহের স্থিতিশীল আকার সম্ভব হয় না। যেকোনো প্রাণীর বা মেরুদন্ড প্রাণীর অবশ্যই একটি ফ্রেম বা কঙ্কাল থাকে। এই কঙ্কাল বিভিন্ন ধরনের বস্তি বাহার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। মানব দেহের সব অস্থি এবং এদের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য অংশ মিলেই তৈরি হয় কঙ্কাল। তাহলে বলতে পারি অস্থি এবং তরুন আজকে দুইটি কঙ্কালের অংশ। এর মধ্যে আরেকটি জিনিসও হতে পারে সেটি হচ্ছে অস্থিসন্ধি। অস্থিসন্ধি অস্তিতন্ত্রের অংশগুলোকে সংযুক্ত করে এবং অস্থির চলনে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। অস্থিগুলো ঐচ্ছিক মাংসপেশী দিয়ে পরস্পর সংলগ্ন থাকায় ইচ্ছামত অঙ্গ সঞ্চালন এবং আমরা চলাফেরা করতে পারি বা চলাফেরা করা সম্ভব হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে অস্থি এবং তরুণাস্তি বেশি বেশি বন্ধন এই এবং অস্থি বন্ধনী দিয়েই কঙ্কালতন্ত্র গঠিত হয়ে থাকে।
আর এই কঙ্কালের জন্যই আমাদের একটা অবশ্যই আকার আকৃতি হয়ে থাকে। তাহলে আমরা প্রথমে দেখে নিতে পারি অস্থি কাকে বলে বা অস্থি কি। অস্থি হচ্ছে যোজক কলা রূপান্তরিত একটি রূপ। এটি দেহের সবচেয়ে দৃঢ় কলা। অস্থির মাত্রিকা বা আন্তকোষীয় পদার্থ এক ধরনের জৈব পদার্থ দিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। মাতৃকার মধ্যে অস্থিগুলো বা অস্থি কোষগুলো সরানো থাকে। একদিকে অস্থির পুরাতন অংশ ক্ষয় হতে থাকে এবং অন্যদিকে অস্থির মধ্যে নতুন অংশ গঠন হতে থাকে। এই ভারসাম্য নষ্ট হলে অস্থির বিভিন্ন ধরনের রোগ ও হতে পারে। তাই যখন মানুষের বয়স বাড়ে তখন অবশ্যই এমনিতেই ভারসাম্যটি হাড় ক্ষয়ের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। অস্থি মূলত ফসফরাস সোডিয়াম পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের বিভিন্ন যৌগ দিয়ে তৈরি হয়।
এই কারণে অস্থি ঠিক রাখতে হলে আমরা এ ধরনের কোন উপাদানটি কম হয়েছে সেটি অবশ্যই আমরা ঔষধের মাধ্যমে আবার প্রয়োগ করে থাকি তখন আবার অস্থিগুলো সুস্থ হয়ে ওঠে। আমরা জানি অস্থিতে প্রায় 40 থেকে 50 ভাগ জল থাকে। জীবিত অস্থি খসে 40% জৈব এবং ৬০% অজৈব যৌগ পদার্থ নিয়েই গঠিত হয়। অতি বৃদ্ধির জন্য আমরা ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলো অস্থি বৃদ্ধির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার তাহলে আমরা দেখতে পারি তরুণাস্থি কি কাকে বলে। তরুণাস্তি অস্থির মত শক্ত নয় এগুলি নরম হয়ে থাকে। সাধারণত এগুলো অপেক্ষাকৃত নরম এবং স্থিতিস্থাপক হয়ে থাকে। যেমন নাকের কানে এই তরুণাস্তি দিয়ে গঠিত হয়। এটি যোজক কলার বিভিন্ন রূপ বা ভিন্নরূপ। এর কোর্সগুলো একক বা জোড়ায় জোড়ায় খুব ঘন ভাবে স্থিতিস্থাপক মাতৃকাতে বিস্তৃত থাকে বলে জানা যায়।
তরুণাস্তি কোষগুলো থেকে কঠিন নামুক এক ধরনের শক্ত ঈশ্বরের রাসায়নিক বস্তু বের হতে থাকে। মাতিকা কনট্রিম দিয়ে গঠিত এবং বর্ণ হালকা নীল হয়। জীবিত অবস্থায় তরু নাস্তিক কোষের প্রোটোপ্লাজম খুব স্বচ্ছ এবং নিউক্লিয়াস টি গোলাকার মতো দেখা যায়। কনডেনের মাঝে গহ্বর বা গর্ত দেখা যায়। এগুলোকে ক্যাপসুল বা লাকি ইউনি বলে অভিহিত করা হয়। এর ভিতর কন্উজ ব্লাস্ট বা কন্ড্রিওসাইট থেকে থাকে। সব তরুণ আসতেই একটি তন্তময় যোজক কলা নির্মিত আবরণী দিয়ে পরিবেশিত থাকে আর তাই একে পেরিকোডিয়াম বলে থাকে। এই পেরিওডিয়াম আবরণটি দেখতে চকচকে সাদা তাই আমরা সাধারণত তরুণ নাতিকে সাদা বাণী লাভ এবং চকচকেই দেখতে পাই।
আমাদের দেহে কয়েক রকম তরুণাস্তি রয়েছে তরু নাস্তি গুলি বিভিন্ন অস্থির সংযোগস্থলে কিংবা অস্তির কিছু অংশে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। তাহলে আমরা অস্থি এবং তরুণাস্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এখানে প্রকাশ করলাম। তাহলে আপনারা অবশ্যই এখান থেকে অস্তি এবং তরুণাস্তিগুলির মধ্যে পার্থক্য গুলি বেছে নিতে পারবেন। সাধারণত অস্তি শক্ত হয়ে থাকে এবং তরুণাস্তি নরম অপেক্ষাকৃত নরম পদার্থ হয়ে থাকে।