আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রকমের দ্রব্য বা পদার্থ ব্যবহার করে থাকে এবং আহারও করে থাকি। এ ধরনের পদার্থ বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী গুলি বিভিন্ন রকমের বা রাসায়নিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ হয়ে থাকে। এদের রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন। যেমন আমরা বলতে পারি লেবুর রস ভিনেগার চুন এন্টাসিড ঔষধ খাবার লবণ এগুলো আমাদের অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। তাহলে দেখা যায় যে এদের মধ্যে কোনটি অম্ল বা এসিড আবার কোনটি ক্ষারক আবার কোনটি হয়তো লবণ। এদের রাসায়নিক ধর্ম ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারণে ধর্ম অনুযায়ী এদের একেকটি একেক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আজকে এখানে আমাদের দেখাতে হবে ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি। তাহলে আমরা প্রথমে দেখি কার কাকে বলে?
ক্ষার: যে সমস্ত যৌগ জলে দ্রবীভূত হয়ে ওএইচ আয়ন তৈরি করে তাদেরকে ক্ষার বলে।
ক্ষারক: যে সমস্ত যৌগ এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় লবন ও জল উৎপন্ন করে তাদেরকে ক্ষারক বলে। তাহলে আমরা আগেই জেনেছি যে ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। কিছু কিছু ক্ষারক আছে যারা জলে দ্রবীভূত হয় আর কিছু কিছু আছে যারা দ্রবীভূত হয় না। হঠাৎ এ কথা বলা যায় যে যে সমস্ত ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে খার বলে। তাহলে ক্ষার হলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। এখানে আমরা কয়েকটি খাল কে চিনে নিতে পারি। যেমন:NaOH, Ca(OH)2. NH4OH এদেরকে আমরা ক্ষার বলি। তাহলে আমরা একথা বলতে পারি যে ক্ষারক ও জলে দ্রবীভূত হয় না। তাই যারা জলে দ্রবীভূত হয় না তারা একটি ক্ষারক হলেও ক্ষার হতে পারে না। অতএব এ কথা বলা যায় যে সকল ক্ষার ক্ষারক হলেও সকল ক্ষারক কিন্তু ক্ষার নয়। এতক্ষণে আমরা সবাই জানি যে সাবান স্পর্শ করলে পিচ্ছিল মনে হয়। এর কারণ হলো সাবান ক্ষার দিয়ে তৈরি। সাবানে খাট থাকার কারণে এটিকে পিচ্ছিল মনে হয়।
অর্থাৎ বলা যায় যে ক্ষার ও ক্ষারকের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এরা পিচ্ছিল হয়। আবার আমরা এটি দেখি যে বা দেখা যায় যে ক্ষার ও ক্ষারক সমূহ সাধারণত কটু সাবযুক্ত হয়। একথা উল্লেখ করা যায় যে ক্ষারকের স্বাদ পরীক্ষা না করাই ভালো। অর্থাৎ যেহেতু খারক ক্ষার কটু সাব যুক্ত হয় তাই আমাদের এই সাধ পরীক্ষা করা বা না নেওয়া অত্যন্ত উত্তম। কারণ স্বাদ গ্রহণ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। পেটে বিষক্রিয়া দেখা যেতে পারে। তাই চেষ্টা করব যাতে কোন মতেই আমরা হাল বা ক্ষারকের স্বাদ গ্রহণ না করি। ক্ষারক হল সেই সকল রাসানিক পদার্থ যাদের মধ্যে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা জলে হাইড্রোক্সিল আয়ন তৈরি করতে পারে। আবার দেখা যায় কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা চুন এমোনিয়া যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন দুই ধরনের পরমাণু নেই কিন্তু এরা পানিতে ও এইচ আয়ন তৈরি করে এদেরকেও আমরা ক্ষারক বলে থাকি।
আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমরা একথা বলতে পারি যে আসলে সব ক্ষারকই ক্ষারক কারণ তারা সবাই এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবন ও জল উৎপন্ন করে এই কারণে। আর সকল ক্ষারক ক্ষার হয় না। তাই আমরা বলতে পারি আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্যগুলি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে থাকবেন তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন বারবার। আমাদের ওয়েবসাইটটি থেকে প্রশ্নের উত্তর বা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতেও কোন অসুবিধা হয় না। তাই আপনারা আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন বিনা খরচায়। আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল উপাদানগুলি যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন তাই আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন।