ক্ষার ধাতু ও মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে পার্থক্য

টিন, লোহা, তামা, সোনা, চিনেমাটির তৈরি থালা-বাসন, প্রাকৃতিক গ্যাস, সহ হাজার হাজার প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমরা পারিবারিক জীবন নিয়ে শিল্প কারখানা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি। এই পদার্থ গুলি কোনগুলি ধাতু এবং কোনটি অধাতু হয়ে থাকে বা বিভিন্ন মিশ্র পদার্থ দিয়েও তৈরি হতে পারে। এদেরকে আবার আমরা অনেক সময় খনি থেকেও পেতে পারি এগুলো থেকে কিভাবে অন্য প্রয়োজনের সামগ্রী তৈরি হয় সেটাও আমরা জানি। তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পদার্থ রয়েছে সেই পদার্থের মধ্যে ধাতু এবং অধাতু ইত্যাদি রয়েছে। তবে আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো ক্ষার ধাতু এবং মিথ্যা ধাতুর পার্থক্য। অপরদিক থেকে বা আরেক দিক থেকে আমরা জানি যে পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন মৌল গুলি তাদের ধর্ম অনুযায়ী গ্রুপ বা শ্রেণীতে অবস্থান করে।

মৌলসমূহের ভৌত এবং রাসায়নিক ধর্মের ওপর ভিত্তি করেই তাদের এই বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছিল। আমরা জানি যে আমাদের ব্যবহার্য পদার্থ গুলির মধ্যে ধাতু অধাতু অর্ধ ধাতু এবং অপ ধাতু এসব নিয়ে আমরা আলোচনা করি। তাই আমরা আজকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারি। আবার আমাদের ধাতুদের মধ্যে বা ধাতুর ক্লাসিফিকেশনের মধ্যে অনেক রকমের ধাতু থাকে। এখন তাহলে দেখে নেই মুদ্রা ধাতু কি। মুদ্রা ধাতু হচ্ছে যে সকল মৌল দিয়ে মুদ্রা তৈরি করা হয় অর্থাৎ পয়সা বাংলা কথায় বললে বলা যায় যে পয়সা তৈরি করা হয় তাকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ এই মুদ্রা ধাতু বা মুদ্রা তৈরি করা হয় কপা সিলভার গোল্ড এবং রন যে নিয়ম এই ধাতুগুলিকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়ে থাকে অর্থাৎ এই ধাতুগুলি ব্যবহার করে মুদ্রা তৈরি করা হয়। এখানে এই রং যে নিয়ম বাদ দিয়ে বাকি তিনটি ধাতুকেই আমরা মুদ্রা ধাতু বলে থাকি কারণ প্রাচীনকালে এই ধাতুগুলি দিয়ে মুদ্রা তৈরি করা হতো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে এটি ব্যবহার করা হতো। এখন আমরা আসলে দেখি যে ক্ষার ধাতু কাকে বলে?

ক্ষার ধাতু: পর্যায় সারণির এক নং গ্রুপে সাতটি মৌল আছে। এই সাতটি মৌলের মধ্যে হাইড্রোজেন যা ছাড়া বাকি সাইটি মৌলকেই অর্থাৎ মৌল গুলি হল লিথিয়াম সোডিয়াম পটাশিয়াম রুবিডিয়াম সিজিয়াম এবং ফ্রান্স এদেরকে খাদ্য বলা হয়। এই ছয়টি মৌলের প্রত্যেকটি পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং খাট তৈরি করে বলেই এদেরকে ক্ষার ধাতু বলা হয়।
এরপর দেখিয়ে মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে?

মৃৎক্ষার ধাতু: পর্যায় সারণির ২ নং গ্রুপে মোট ছয়টি মৌল আছে এই ছয়টি মৌল গুলি হল বেরিলিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম স্টোন সিয়াম বেরিয়াম এবং রেডিয়াম। এই মৌলগুলোকে একত্রে মৃৎক্ষার ধাতু বলে। এই ধাতুগুলোকে মাটিতে বিভিন্ন যোগ্য হিসেবে পাওয়া যায় আবার এরা খারো তৈরি করে আর এজন্যই সামগ্রিকভাবে এদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়ে থাকে। আবার আমরা ক্যালসিয়াম ধাতুর বিভিন্ন যৌগের মাটিতে পাওয়া যায় এই কারণে ও ক্যালসিয়াম ধাতুকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।

আমরা ধাতুর বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। আবার ক্ষার ধাতু এবং মৃৎক্ষার ধাতু এই দুটি ধাতু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। তাহলে আমরা অবশ্যই এই দুইটি ধাতু কাকে বলে এবং এদের পার্থক্য অবশ্যই নির্ণয় করতে পারব। যদি উভয় ধাতু সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলি আমরা খুব ভালোভাবে জানি বা বুঝি তাহলে অবশ্যই এই দুইটি ধাতু সম্পর্কে পার্থক্যও আমরা করে ফেলতে পারব। তাহলে আজকের পোস্ট থেকে যেহেতু দুই ধাতু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিলাম অবশ্যই এদের পার্থক্য গলি সম্পর্কেও আমরা জানতে পারলাম বা জেনে ফেললাম। তাহলে আপনারা এ ধরনের যেকোনো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন বলে আশা রাখি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *