২০২৩ সালের শবে বরাত কত তারিখে

বাংলাদেশ একটি মুসলিম কান্ট্রি। এদেশের অধিকাংশ মানুষই মুসলমান। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ২০২৩ সালে শবে বরাত কত তারিখে এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনো জানেনা। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের আজকে আমরা জানিয়ে দেবো ২০২৩ সালের শবে বরাত কত তারিখে। এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েবসাইটটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

শবে বরাত প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। পুরো বিশ্বব্যাপী মুসলমান সম্প্রদায় কাছে একটি প্রায়শ্চিত্তের রাত ও মুক্তির রাত বলে বিশ্বাস করে। তাই সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতিবছর এটা বিশ্বাসের সহিদ পালন করে। হাদিসে অনুসারে নবী মুহাম্মদের কথা অনুযায়ী শবে বরাতেকে এমন একটি রাত হিসাবে বিবেচনা করা হয় যখন আল্লাহ সামনের বছরের জন্য মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাতে রহমত ও ক্ষমার দরজা প্রশস্ত খোলা থাকে এবং মানুষ তার অসীম রহমতের জন্য আল্লাহর কাছে যেতে পারে। এই রাতে মহান রাব্বুল আলামিন বান্দাদের দিকে তাকিয়ে থাকে কে কি তার কাছ থেকে এই রাতে চেয়ে নিচ্ছেন। এ কারণেই শবে বরাত সমস্ত মুসলমানদের জন্য বরকতময় পূর্ণ একটি রাত।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌভাগ্যের রাত হিসাবে পালন করেন। এই রাতে ধর্মপ্রাণদের জন্য কৃপার দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ। তাই এই রাতটি পবিত্র শবে বরাত হিসাবে পালিত হয়। তাছাড়া অনেক সময় ইংরেজি ক্যালেন্ডার বা আরবি ক্যালেন্ডার গুলোতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী অনেক সময় শবে বরাতের তারিখ উল্লেখ করা থাকে যেটা নির্দিষ্টভাবে সে তারিখ প্রদান করা হয় না যে ওই দিনেই শবে বরাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর একই দিনে শবে বরাত অনুষ্ঠিত হয় না কারণ আরবি মাসগুলো কখনো ২৯ দিন বা কখনো ৩০ দিনে হয়ে থাকে। তাই ২০২৩ সালে শবে বরাত কবে এ বিষয়টি নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা অসম্ভব একটি বিষয়। ইসলামের ধর্মের বিশেষ বিশেষ দিন বা উৎসব গুলো আরবি মাসের চাঁদের উপর নির্ভর করে।

পবিত্র শবে বরাত মুসলিমদের কাছে এককথায় রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে, কারণ আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। শবে বরাত অনুষ্ঠিত হওয়ার পনের দিন পরেই সাধারণত রমজান মাস শুরু হয়ে যায়। যখন শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিনে সিয়াম পালন করবে। শবে বরাত মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দা দের জন্য বিশেষ উপহার। তাই এ রাত সম্পর্কে আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। রাতটি ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটাতে হবে। পবিত্র এই রজনীতে আমাদের সবার উচিত নিজের যাবতীয় গোনাহের জন্য তাওবা করে রাব্বুল আলা মিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা। মনের নেক আশা আকাঙ্খা পূরণে ও মৃতদের মাগ ফেরাতের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা।

দিনের এবাদত থেকে রাতের এবাদত সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই শবে বরাত রাতে মহান আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার জন্য একশত রহমতের দরজা খুলে দেন। অতএব আপনি আপনার গুনাহগার উম্মতদের অপরাধ ক্ষমা করে নিন। এইরকম রাত হয়তো আপনি আর কখনো পাবেন না। নিজের পাপ কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ শবে বরাতের রাতের মতো আর হয়তো কোন রাত হবে না। শাবান মাসের শবে বরাতের রাতে যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামায আদায় করবে, তার জীবনের যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তার জন্য দোজখ হারাম হয়ে যাবে হাদিসে এমন একটি কথা উল্লেখ রয়েছে।

আপনারা যারা ২০২৩ সালের শবে বরাত কত তারিখে এ সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হলো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *