চাশতের নামাজের সময় কখন

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছে। আর এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি আরো অনেক সুন্নত নামাজের কথা উল্লেখ করেছে যেটাতে আমাদের পরকালের জান্নাত পাওয়ার জন্য এবং ছোট ছোট গুনাহ মাপের জন্য এই নামাজগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো চাশতের নামাজ এর সময় কখন, বা এই নামাজের ফজিলত কি বা গুরুত্ব আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। যারা এ সব প্রশ্নর উত্তর খোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গাতে অনুসন্ধান করছেন, তাদের বলবো আমাদের ওয়েব সাইটে আপনি নির্বাচন করুন আশা করছি আমরা আপনাদের সঠিক উত্তরটি প্রদান করতে পারব।

চাশতের নামাজের সময়

প্রত্যেকটি নামাজের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, সেই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী নামাজ আদায় করাটা উত্তম। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দিষ্ট সময়ে বান্দাদের নামাজ আদায়ের কথা বলেছে। তেমনি চাশতের নামাজ একটি উত্তম সময় রয়েছে,সূর্য তার প্রথম প্রহরে তেজ নিয়ে দ্বিপ্রহরে প্রবেশের আগে চাশতের নামাজের সময়। যা জোহরের ওয়াক্ত শুরুর ঘণ্টা দেড়েক আগে শেষ হয়। শুরু হয় ইশরাকের ঘণ্টা দেড়েক পর। ঘড়ির সময়ে তা নানা মওসুমে ভিন্ন হতে পারে। তবে যারা আমল করেন, তারা সূর্যের গতি দেখে তা নির্ধারণ করে থাকেন।

হাদীসে বলা হয়েছে ‘চাশতের নামাজ পড়া হবে যখন সূর্যের তাপ প্রখর হয়। যখন দিনের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ, দিনের চার ভাগের একভাগ পার হয় তখন এই নামাজ আদায় করা উত্তম। কাজেই, চাশতের নামাজ বা সালাতুদ্‌ দুহা আদায় করার উত্তম সময়টি হচ্ছে সূর্যোদয় এবং যোহর নামাযের মধ্যবর্তী সময়টা। চাশতের নামাজ কমপক্ষে দুই রাকাত পড়তে হয়। এছাড়া চার, আট এবং বারো রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মক্কা বিজয় দিন তার ঘরে চাশতের নামাজ এর সময় হয়ে গেলে আট রাকাত নামাজ আদায় করেন।

মহানবী (সা:) চার রাকাত চাশতের নামাজের কথা বলেছেন আবার আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আট রেকাতের নামাজের কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি চাশতের ৪ রাকআত নামাজ যোহরের পূর্বে সঠিক সময়ে নামাজটি আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ে অল্প নামাজ হলেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আমাদের নবী ফরজ নামাজের পাশাপাশি এই সকল ছোটখাটো সুন্নত নামাজ গুলো আদায় করার কথা বলেছেন। মানুষের শরীরে চার হাজার এর উপরে জোড়ে রয়েছে, এসব জোড়ার হক আদায় বা সাদকা অবশ্যক।

এভাবে সারা দিনে প্রতিটি জোড়ার হক আদায় করা প্রায় চার হাজারের মতো ভালো কাজ করা মানুষের পক্ষে একেবারে অসম্ভব। তাই আমাদের প্রিয় নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ঘোষণা অনুযায়ী চাশতের নামাজ এমন একটি ইবাদত যা চার হাজার ভালো কাজের থেকে উত্তম। তবে আরবদের ভাষা অনুযায়ী চাশতের নামাজ সময়সূচী হল সূর্যোদয়ের পর উটের বাচ্চা যখন গরম অনুভব করে, সেই সময়টি হল চাশতের নামাজের উত্তম সময়। তবে চাশতের নামাজ সময় সম্পর্কে অনেকের অনেক ভুল মন্তব্য করে থাকে, যেগুলো একদমই ঠিক না।

ইসলামের বিধান অনুযায়ী ও হাদিসের বর্ণিত সময় অনুযায়ী এই নামাজ আদায় করতে হবে কারো কথাই বা কারো নির্দেশনায় সময় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ হাদিসে বা কুরআন মাজীদে স্পষ্টভাবে সকল নামাজের সময় গুরুত্ব ফজিলত স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেহেতু এখানে কোন মানুষের কথাই বিভ্রান্তি হওয়া যাবে না। আমাদের প্রিয় নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন আমি তিনটা জিনিস কখনো ছাড়বো না প্রথমত প্রতিমাসের তিনটা রোজা, দ্বিতীয়ত চাশতের নামাজ ,ও তৃতীয় টি হল ঘুমাতে যাবার আগে বিতর নামাজ আদায় করা।

আপনারা যারা চাশতের নামাজের সময় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা বিভিন্ন জায়গাতে অনুসন্ধান করছেন, তাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম চাশতের নামাজের উত্তম সময় সম্পর্কে। আশা করছি আমাদের এখান থেকে আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *