আপনারা অনেকেই মেয়েদের দুধ কখন বের হয় এই প্রশ্নটির জানার জন্য অনেকেই বিভিন্ন জায়গাতে অনুসন্ধান করছেন, বা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের এই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের সঠিক উত্তর টি দেব। আপনারা এই উত্তরটি জানার জন্য একদম সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করেছেন আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভাবে আপনি পড়ুন আর জেনে নিন মেয়েদের দুধ কখন বের হয়।
মেয়েদের দুধ কখন বের হয়
মেয়েদের দুধ কখন বের হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি প্রত্যেকটি মেয়েটি জানা দরকার, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এবং তাই এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তরটি আমাদের জানা দরকার, সাধারণত মেয়েরা গর্ভধারণের পর মেয়েদের স্তনে দুধ আসতে শুরু করে, তবে একমাত্র গর্ভধারণের পরেই দুধ আসা শুরু হয় এর আগে যদি, বা গর্ভধারণ ব্যতীত অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে মেয়েদের বুকে দুধ আসে তবে তাহলে সেটা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারে, যদি দুধ আছে তাহলে সেটা এক ধরনের অসুখ, তবে সাদা তরল মানে যে দুধ তা নয় এটা মানুষের দেহের একটি লসিকা গ্রন্থি। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্ল্যাকটন হরমোনের কারণে এবং ভারসাম্যহীনতা হয় সেই কারণে সেই কারণে মেয়েদের বুকে দুধ আসতে পারে।
তবে এরকম কোন সমস্যা হলে আপনাকে অবশ্যই হরমোন বিশিষ্ট বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। সাধারণত গর্ভধারণের পরে মেয়েদের বুকে আস্তে আস্তে দুধ চলে আসে তবে সন্তান প্রসবের প্রথম তিনদিন মায়ের বুকের দুধ আসে না, এই সময় শিশুকে মধু, মিশ্রির পানি ও অন্যান্য দুধ বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যা খেতে বলে সেগুলো খেতে দিতে হয়। তিনদিন পর থেকে যখন মায়ের বুক ভারী হয়ে দুধ চলে আসে তখন বুকের দুধ স্বাভাবিক ভাবে শিশুকে খাওয়াতে হবে। একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভবতী সময় কালে স্তন থেকে দুধ নিঃসৃত হতে পারে।
পুরো চটচটে হলদে রঙের যে তরল পদার্থটি বের হয়ে আসে আসলে সেটি দুধ নয়। এটা বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা হয় কোলোস্টম। একজন নারী যখন গর্ভবতী হন তখন তার শরীরের অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে, তেমনি তার শরীরে হরমোনাল এর পরিবর্তন ঘটে। এবং হরমোন পরিবর্তনের সাথে সাথে সেই গর্ভবতী নারীর শারীরিক এর অনেক পরিবর্তন ঘটে। তেমনি হঠাৎ করে গর্ভবতী নারীর বুকের দুধ আসাটা স্বাভাবিক একটি পরিবর্তন। শিশুর সম্ভাব্য জন্মের তিন মাস আগেই বুকের দুধের প্রথম পর্যায়ে সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
যদিও এর আগে অনেক প্রেগনেন্ট মেয়ের চার মাস বা পাঁচ মাসে আগেই প্রাথমিক বুকের দুধের তৈরি হয়। দুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থ স্তনে এসে জমা হয়ে যায়। এজন্যই অনেক প্রেগন্যান্ট মেয়েদের গর্ভকালীন অবস্থায় স্তন থেকে দুধ নিঃসরণ হতে থাকে। এ সময় অনেক মেয়েদের প্রচুর পরিমাণে নিঃসরণ হতে থাকে, আবার কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে খুবই কম হতে পারে, কারণ গর্ভবতী অবস্থায় কলোস্টোম হরমোন গুলো চুঁয়ে বেরিয়ে আসতে পারে, এটা নিয়ে আপনার বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। এটি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খুবই নরমাল একটি বিষয়।
তবে এটা যদি অস্বাভাবিক হারে বের হয় আর যদি এটাতে আপনার অস্বস্তি ফিল হয় তাহলে আপনি আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে পারেন তবে এখানে চিন্তার কোন কারণ নেই। মাতৃ স্তনের দুধের পিছনে বিশেষ কিছু হরমোন রয়েছে যেগুলো হলো ইস্ট্রোজেন, প্রোলোক্টিন,লেপটিন ইত্যাদি, একজন নারীর মা না হলে তার বুকের দুধের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ হতে পারে না। এই কথাটি হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবে না। একটি শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধের গুরুত্ব অনেক। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মেয়েদের রক্ত প্রোল্যটিন এর মাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় যা স্তনকে উত্তেজিত করে মেমোরি টিসু্্য উৎপাদন করে স্তনের গঠনে দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে।
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম মেয়েদের দুধ কখন বের হয় ?কি কারনে বের হয় কোন পদ্ধতিতে বের হয় আপনারা যারা এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জানতে চাচ্ছেন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারেন।
