বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ছোট থেকে বড় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ এই নামটির সঙ্গে খুব পরিচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্থাপত্য হিসেবে ভূষিত করা হয়। ছোট থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণতা। তুনি অন্যায় দেখলে কখনো মুখ বুঝে সহ্য করেন নি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছেন। ছোট থেকে তার রক্তে নেতৃত্বের একটি ভাব প্রকাশ ছিল। তিনি স্কুল জীবন শেষে কলেজ জীবনে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি।
আপনারা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্ম কত সালে এই প্রশ্নটি জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গায় সঠিক উত্তরটি জানার চেষ্টা করছেন। আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর টি জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নির্বাচন করুন। আর আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক বঙ্গবন্ধুর জন্ম কত সালে।
বাংলার ইতিহাসের এক মহান নায়ক হিসাবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অবদানের জন্যই বাংলাদেশের একের পর এক ইতিহাসের রচনা ঘটেছে। ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা এমন কোন জায়গা নেই যে তার অবদান নেই তার অবদানের ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে।শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব জীবন কাটে টুঙ্গিপাড়ায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার, গোপালগঞ্জ বর্তমানে জেলা টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ লুৎফর রহমান ও মোসাম্মৎ সাহারা খাতুনের চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান শেখ মুজিব। বাবা-মা ডাকতেন খোকা বলে। খোকার শৈশবকাল কাটে টুঙ্গি পাড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে মুজিবকে বাংলাদেশের জাতির পিতা গণ্য করা হয়। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তাঁর সাত বছর বয়সে। নয় বছর বয়সে তিনি ভর্তি হন গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে। এবং পরে ম্যাট্রিক পাশ করেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে। খেলাধুলায় খুব উৎসাহ ছিল। তরুণ বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতেন।
রেসকোর্স ময়দানে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এক বিশাল জনসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল। ১৯৭০এর নির্বাচনে শেখ মুজিব তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের জনগণকে ছয় দফার ভিত্তিতে ভোট দেবার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলের প্রতীক হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন নৌকা।ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এক জনসভায় শেখ মুজিব সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হবার আহ্বান জানান। বাল্যকাল থেকেই শেখ মুজিবর ছিলেন অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির ও মেধাবী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তার পাঁচটি সন্তান ছিল। দুইটা কন্যা ও তিনটা পুএ। কন্যা হলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। পুত্ররা হলেন শেখ কামাল, জামাল ও শেখ রাসেল।
পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বাত্মক হামলা চালালে শুরু হয় বাংলাদেশের নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম। সেই নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বারবার বাঙালি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং একসময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাঙালি জাতির কাছে পরাজিত স্বীকার করতে বাধ্য হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন দেশকে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রে গেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১৯৭৫ সালে ১৫ ই অগাস্টের রাতে ধানমন্ডি সেই বাড়িতেই সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের হাতে নিহত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে।
আপনারা যারা বঙ্গবন্ধুর জন্ম কত সালে এ প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হলো আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।