জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন নেতৃত্ব ধীন অনন্য এক প্রতিভার মানুষ। তার ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন ছিল পুরো সংগ্রামে ভরপুর। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন খুব সাধারন একজন মানুষ। তেমনি রাজনৈতিক জীবনও ছিল তার নানান ধরনের বাধা। সারাজীবন কাজ করে গেছেন খেটে খাওয়া গরীব সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। আন্দোলন সংগ্রাম ই ছিল তার জীবনের অধিকাংশ জীবনের সঙ্গী। ছোট থেকে তিনি অত্যন্ত মেধাবী আর বুদ্ধিমান ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন। আর এই স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে বহু ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। আর এই স্বাধীনতার মূল নায়ক হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জীবন সম্পর্কে ও তার রাজনৈতিক জীবনে কি ঘটেছে এইসব প্রশ্ন অনেকের মাথায় ঘুরপাক খায়। আর এইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন আর সেই আগ্রহ থেকে আপনারা গুগলে বারবার সার্চ করছেন কত সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর দেখে নিন আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি।
১৯৭৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সর্বসম্মতি ক্রমে জাতিসংঘের ১৩৬ তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের এটি এক ধরনের বড় পাওয়া। রাজনৈতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ও বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও সদস্যপদ অর্জনে জাতির পিতার নিরলস কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এই সফলতা অর্জন হয়। এই অর্জন শুধুমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একার নয় গোটা বাংলাদেশর মানুষের।
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্য তম পদ হওয়ার মাত্র ৮ দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর তৈরি হয় আরও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যা ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে বাংলায় এক যুগান্তকারী ভাষণ প্রদান করেন। আর এই ভাষণটি ছিল বাংলায়। এই ভাষণটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বিশ্বের অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং নিষ্পেষিত মানুষের মনের কথা। তাছাড়া এই ভাষণ দিতে আরও একটি কথা ছিল সারা বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া।
১৬ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয় তখন একের পর এক দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে থাকে। সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ভুটান। তারপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের নেতা হয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রচলিত ধারার সেই বিশ্ব রাজনীতিতে সংযুক্ত না হয়ে তিনি বিশ্বের সব জাতি ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি ও মিলনের আহ্বান জানালেন।
আপনারা যারা কত সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে আলোচনা করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজে জেনে নিন।