বি এম আই (Body Mass Index) মানব দেহের গরন ও চর্বির একটি সূচক নির্দেশ করে। বিএমআই এবং বিএমআর এই দুইটি সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের অবগত হওয়া উচিত। আজ আমরা এই, বিএমআই এর মান কিভাবে নির্ণয় করা যায় সেটির সূত্র নির্ণয় করে দেখাবো। তার আগে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আপনারা যারা নতুন তারা অবশ্যই ভিজিট করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে জীববিজ্ঞান সহ সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে থাকি। আমাদের এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তা আপনারা পাবেন। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে, সেখানে আপনার জিজ্ঞাসা থাকলে জিজ্ঞাসাটি করুন, তাহলে আপনার জিজ্ঞাসার উত্তর অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
আর আপনাদের যাদের, আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটিও করতে পারবেন। যাদের প্রশ্ন ডাউনলোড করে নিতে হবে তারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের ডাউনলোড অপশন এ গিয়ে সেখানে দেখানো প্রয়োজনীয় লিংক কে ক্লিক করে আপনার প্রশ্নের উত্তর গুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তাহলে আমরা দেখি যে বিএমআই কিভাবে এর মান নির্ণয় করা যায়। এর সঙ্গে আমাদের আরেকটি জিনিস দেখতে হবে সেটি হচ্ছে যে বিএমআর কি। বিএমআর (Basal Metabolic Rate) হলো পূর্ণ বিশ্রামরত অবস্থায় মানব শরীরের ব্যবহৃত শক্তির পরিমাণ নির্দেশ করা।
বিএমআর মান নির্ণয় কিভাবে করা যায় এখন সেটি দেখি
বিএমআর মান বের করা একটু কঠিন, এর সমীকরণ লিঙ্গ ও বয়সভেদে পার্থক্য আছে। বিএমআর
সম্পর্কে ধারণা পেতে বহুল ব্যবহৃত হ্যারিস বেনেডিক্ট সূত্রটি ব্যবহার করা যায়। মেয়েদের বিএমআর = 655 (9.6 ওজন কেজি) – (1.8 x উচ্চতা সে.মি.) – (4.7 – বয়স বছর)
ছেলেদের বিএমআর = 66 (13.7 ওজন কেজি) + (5 4 উচ্চতা সে.মি.) – (6.8 – বয়স বছর)
ধরা যাক একজন নারীর বয়স 33 বছর, উচ্চতা 165 সে.মি. এবং ওজন 94 কেজি।
সুতরাং তার বিএমআর
-655+ (9.694) (1.8 165) – (4.7 33)
-655 902.4+ 297 – 155.1
= 1699.3 ক্যালরি
এবার আমরা আসি বিএমআই এর ব্যাপারে।
বি এম আই এর মান নির্ণয় এক মিটার সমান সমান ৩৯.৩৭ ইঞ্চি।
বিএমআই = দেহের ওজন (কেজি)/ দেহের উচ্চতা (মিটার)2
বি এম আই এর মান ১৮.৫ কেজিএর নিচে হলে শরীরের ওজন কম। পরিণত খাদ্য গ্রহণ করে ওজন বাড়াতে হবে।
18.5 হতে 24.9 কেজি হলে সুস্বাস্থ্যের আদর্শ মান।
২৫ হতে ২৯.৯ কেজি হলে শরীরের ওজন অতিরিক্ত। ব্যায়াম করে অতিরিক্ত ওজন কমানো প্রয়োজন।
৩০ হতে ৩৪.৯ কেজি হলে মোটা হওয়ার প্রথম স্তর। বেছে বেছে খাদ্য গ্রহণ করা এবং ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
৩৫ হতে ৩৯.৯ কেজি হলে মোটা হওয়ার দ্বিতীয় স্তর। তখন পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
৪০ কেজি এর ওপরে হলে অতিরিক্ত মোটাত্ব। মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা। ডাক্তারের পরামর্শের প্রয়োজন আছে অবশ্যই। বিএমআই মানদণ্ডে ব্যক্তিটির সুস্বাস্থ্যের জন্য ৩৮ কেজি ওজন হওয়া প্রয়োজন অতএব সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন স্বাস্থ্যসম্মত মানে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আমরা দেখলাম কিভাবে বি এম আই এর মান নির্ণয় করা যায় না। এই বি এম আই এর সঠিক ভাবে মেনে চললে সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।
আর একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে অনেক কিছুই করতে হয় তাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারগুলি গ্রহণ করতে হবে, রাতে ভালো ঘুমাতে হবে এবং বড় কথা যে সময় এর যে কাজ সেই কাজগুলো করতে হবে। যেহেতু স্বাস্থ্যই সুখের মূল, তাই আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবান হতে হবে। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, তাই সুস্থ্য থাকুন আর ভালো থাকুন। আর আমাদের জীবনের সুস্থ থাকার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবকিছুই করা উচিত। নইলে অসুস্থ হয়ে গিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে কোন লাভ হয় না, শুধুমাত্র ডাক্তার এবং ঔষধ কোম্পানির লাভ হয়ে থাকে। তাই আমরা সবাই নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য রাখবো।