প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যারা লঞ্চে ভ্রমণ করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য একটি আনন্দের খবর রয়েছে। লঞ্চে ভ্রমণ করার জন্য কেমন ভাবে প্রস্তুতি নিবেন তা নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে আমরা তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। লঞ্চে ভ্রমণ করতে গেলে আপনাকে কোন ধরনের সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হতে হবে তা আগে থেকেই জেনে নেওয়া উচিত। লঞ্চে ভ্রমণ করা যতটা সহজ মনে হয় ঠিক ততটা সহজ কিন্তু নয়। মাঝ নদীতে অনেক পানি দেখলে অনেকেই নার্ভাস হয়ে পড়ে। আপনার যদি এমন কোন সমস্যা থেকে থাকে তবে লঞ্চে ভ্রমণ না করাই উচিত।
যদি আগে থেকেই এই বিষয়গুলো না ভাবেন তবে লঞ্চ ভ্রমণের কয়েকটি ঘন্টা আপনার জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর সময় হতেই পারে। আবার বিষয়টি যদি আপনি উপভোগ করতে পারেন তবে নতুন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। লঞ্চে ভ্রমণের যে আনন্দ তা সম্পূর্ণ পাওয়ার জন্য হলেও ভ্রমণের আগে একটু পড়াশোনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো। আজকের আলোচনায় আমরা বরিশালের লঞ্চ নিয়ে কথা বলব। লঞ্চের মাধ্যমে বরিশালে যাওয়ার জন্য কোন লঞ্চকে সিলেক্ট করবেন এবং প্রতিটি লঞ্চের সময়সূচী বিস্তারিত তুলে ধরবো এই লেখায়। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকলে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের উত্তরের মানুষেরা খুব একটা লঞ্চে ওঠার সুযোগ পান না। উত্তর থেকে সড়ক পথেই খুব সহজে রাজধানীতে যাওয়া সম্ভব। তবে বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকায় আসার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো লঞ্চ। বরিশালের বেশিরভাগ মানুষ লঞ্চের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকায় আসে। ঠিক একইভাবে ঢাকা থেকে কোন ব্যক্তি যদি বরিশালে যেতে চান তবে লঞ্চের মাধ্যমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেশি। বিশেষ করে ঈদ অথবা কোন নির্দিষ্ট উৎসবের সময় লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিগত কয়েক বছরে আপনারা নিশ্চয়ই বেশ কয়েকটি লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা শুনে থাকবেন।
এ থেকেই বোঝা যায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কতটা থাকে। যদিও স্বাভাবিক সময়গুলোতে লঞ্চে যাত্রী চাপ একটু কম থাকে যখন লঞ্চ ভ্রমণে গেলে কিছু ভালো মুহূর্ত উপভোগ করা সম্ভব। একা একা লঞ্চে ভ্রমণ করতে গেলে আপনি কখনোই পুরো সময়টি উপভোগ করতে পারবেন না। চেষ্টা করুন নিজের পরিবার অথবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে লঞ্চে ভ্রমণ করতে। চলুন এবার লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া নিয়ে কিছু কথা বলি।
ঢাকা – বরিশাল নৌ পথের সকল লঞ্চ সার্ভিস এর যোগাযোগ নম্বরঃ
এম ভি বাঙালি, এম ভি মধুমতি ও স্টীমার সার্ভিস ( শুক্রবার ছাড়া ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট এ লালকুঠি ঘাট থেকে ছাড়ে , বরিশাল থেকে রবিবার বাদ এ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট এ ছাড়ে )
ফোনঃ ০২ ৯৬৬ ৭৯৭৩
( মধুমতি ও বাঙালি হচ্ছে এ পথের সর্বাধিক নিরাপদ জাহাজ )
রোটেশন অনুযায়ী সপ্তাহে প্রতিদিন উভয় দিক থেকে রাত ৮.৩০ থেকে রাত ৯.৩০ মিনিট এর ভেতর ছেড়ে যায় নিচের নৌযান গুলো।
এম ভি কীর্তনখোলা ১০
ফোনঃ ০১৭৭৮ ৭৮৬ ৯৫৪, ০১৭৭১ ৪৯৭ ৪৩২
এম ভি এ্যাডভেঞ্চার ৯
ফোনঃ ০১৭৪৬ ১৭৪ ৫৯৪, ০১৭৮৩ ৬১৩ ৯৪৭, ০১৭৮৩ ৬১৩ ৯৪৮(বরিশাল কাউন্টার)
এম ভি সুন্দরবন ১০
ফোনঃ ০১৭৫৮ ১১৩ ০১১, ০১৭১৬ ৪৪৪ ৩৬৭, ০১৭১১ ৩৫৮ ৮৩৮
এম ভি সুন্দরবন ১১
ফোনঃ ০১৭১৮ ৬৬৪ ৭০০ (লঞ্চ) , ০১৭১১ ৩৫৮ ৮৩৮ (অফিস)
এম ভি পারাবত ১২
ফোনঃ ০১৭৮৯ ৪৪৮ ০৮৮
এম ভি সুরভী ৯
ফোনঃ ০১৭১২ ৭৭২ ৭৮৬, ০১৯২৯ ৯৫৯ ০৮২
এবং ০৪৩১-৬৮৩৮৮ ( বরিশাল ) ০১৭১১ ৯৮৩ ৫৩৪ ( ঢাকা )
০১৭১৬ ৮৪১ ২১২ এবং ০১৭১৪ ৬০০ ৫৬৭ ( লঞ্চ )
এম ভি পারাবত ১১
ফোনঃ ০১৭১১ ৩৩ ০৬৪২ (লঞ্চ), ০১৭১১ ৩৪৪ ৭৪৫
এম ভি এ্যাডভেঞ্চার ১
ফোনঃ ০১৭২৩ ৩৫৭ ৩৭৮ , ০১৭৪৪ ৩১৭ ২৩৭
এম ভি কীর্তনখোলা ২
ফোনঃ ০১৭১১ ১৭১ ৬০৫ ( অফিস)
০১৭৭১ ৪৯৭ ৪৩২- ৩ (লঞ্চ)
এম ভি সুরভী ৭
ফোনঃ ০১৭১১ ৩৩২ ০৮৪
এম ভি ফারহান ৮
ফোনঃ ০১৭১৫ ৮৪৪ ৬১২, ০১৭১৮ ৩১২ ৩০১
এম ভি সুরভী ৮
ফোনঃ ০১৭১২ ৭৭২ ৭৮৬, ০ ১৭১১ ৪৫৩ ৯৮৯
এম ভি টিপু ৭
ফোনঃ ০১৭৫৩ ৯৪৫ ৬১০, ০১৭৭৭ ৬৮৩ ৯৯৬-৭
বরিশাল অফিসঃ ০১৭১৬ ২৪৮ ২২২
এম ভি সুন্দরবন ৮
ফোনঃ ০১৭১১ ৪৪১ ০২৮
এম ভি পারাবত ১০
ফোনঃ ০১৭১১ ৩৪৪ ৭৪৫
এম ভি পারাবত ৯
ফোনঃ ০১৭১১ ৩৪৪ ৭৪৭
এম ভি পারাবত ৮
ফোনঃ ০১৭১১ ২৭৬ ৫৯৭, ০১৭১৭ ৩৪৪ ৭৪৭
এম ভি কালাম খান ১
ফোনঃ ০১৭১১ ৩২৪ ৬২৯
এম ভি কামাল ১
ফোনঃ ০১৭১১ ১৭১ ৬০৫
সংস্কার জনিত ও অন্যান্য কারনে আপাতত সার্ভিস এর বাইরেঃ
এম ভি দীপরাজ
ফোনঃ ০১৭২৭ ৭০০ ৭৭৭
দিবা সার্ভিস:
এম ভি গ্রীনলাইন ২ এবং ৩
সময়সূচিঃ
ঢাকা থেকে বরিশালঃ
সকাল ৮.০০ মিনিটে ।
বরিশাল থেকে ঢাকাঃ
বিকেল ৩.০০ মিনিটে।
ভাড়াঃ ইকোনোমি ক্লাস ৭০০ টাকা, বিজনেস ক্লাস ১০০০ টাকা। (সাথে থাকবে হালকা নাস্তা)
ঢাকায় সকল কাউন্টারঃ
ঢাকায় গ্রীন লাইনের সকল বাস কাউন্টার।
এম ভি গ্রীনলাইন সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য হট লাইন – ১৬৫৫৭
সকাল ৭.০০ থেকে রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত ।
জরুরি যোগাযোগ নম্বরঃ
০২৮৩১৫৩৮০, ০১৭৩০০৬০০০৪, ০ ১৭৩০০৬০০৭১, ০১৭৩০০৬০০৭২, ০১৭৩০০৬০০৭৩
বরিশাল এ বুকিং নম্বরঃ
যোগাযোগঃ ০১৭১৩১৭৮২৫৮ , ০১৭৩০০৬০০৩৩
লঞ্চে যাত্রীদের চাপ থাকায় অথবা কমযাত্রী থাকায় দুটি কারণেই সঠিক সময়ে লঞ্চ যাত্রা শুরু করতে পারে না। এছাড়াও টেকনিক্যাল কোন ত্রুটি থাকলে সঠিক সময় লঞ্চ যাত্রা করা সম্ভব হয় না। তাই লঞ্চের সঠিক সময়সূচি আপনার কাছে থাকলেও সেই সময় যে যাত্রা শুরু করতে পারবেন এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। এর পরও যদি আপনারা বরিশালের লঞ্চের সময়সূচী পেতে চান তবে আমাদের সাথেই থাকুন। পুরো সময় সূচির তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে। কোন লঞ্চের ভাড়া কত তা জেনে নিয়েই যাত্রা শুরু করা উচিত। বরিশাল পর্যন্ত লঞ্চে ভ্রমণ করলে আপনার কত টাকা খরচ হবে তা না জানলে শেষ পর্যন্ত বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
আগে থেকে এই বিষয়গুলো জেনে রাখলে ভ্রমণের জন্য নির্দিষ্ট ছক কষে রাখতে পারবেন। এখন আপনাদের জানতে হবে কেন বরিশালের লঞ্চের মোবাইল নাম্বার আপনাদের সংগ্রহ করা উচিত। বরিশালের লঞ্চের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা উচিত কারণ লঞ্চ ছাড়ার সঠিক সময় জেনে নেওয়া সহজ হবে। লঞ্চ ছাড়ার সঠিক সময়ের পাশাপাশি লঞ্চের ভাড়া বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন সরাসরি ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে। ফোন নাম্বার সংগ্রহ করা মোটেও সহজে একটি কাজ নয় কারণ আমরা খুব দরকার ছাড়া লঞ্চঘাটে কেউই যাওয়ার প্রয়োজনবোধ করি না। তবে আপনাদের সুবিধার্থে বরিশালের প্রতিটি লঞ্চের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করব।