দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে অন্যতম নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান নেতার অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। আর বাংলার প্রতিটি মানুষ তাকে নিজের জীবন থেকেও বেশি ভালবাসতেন। তাই আপনারা অনেকেই অনেক সময় বঙ্গবন্ধু উপাধি কে দেন এই প্রশ্নটি সম্মুখীন হন
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় এই প্রশ্নগুলো আমরা ফেস করে থাকি। তাই আপনার অনেকেই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েব সাইটে আমরা লিখে থাকি আপনার গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন।প্রকৃত পক্ষে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালই হলো এই বাঙালি জাতির বাংলাদেশ কে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির কাল। এই সময় কালের মধ্যে জাতিসত্তা অর্জনের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিটি স্তরে যার সুমহান আত্মত্যাগী নেতৃত্ব একক ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাংলার মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন তিনি প্রতিনিয়ত বাঙালিকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিভাবে বাংলার মানুষকে শান্তি দিবে এই বিষয়টি নিয়ে মগ্ন থাকতেন। বাংলাদেশের প্রতিটি সংগ্রামে তার নেতৃত্বের অবদান কোনোভাবেই ভোলা যাবে না।
বাংলাদেশের ও বাঙালি জাতির জন্য তিনি যে অস্তিত্ব লড়াই করে গিয়েছেন তা ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বোঝা যায়। ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে তিনি অনুপ্রেরণা জাগিয়েছিলেন। কাল একজন জাতির নেতৃত্ব ছাড়া কখনোই কোনোভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবে না তাই শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির নেতৃত্বের দায়িত্বভারটি ধরে নেন তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বলেছেন তোমাদের যা যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো তবুও এ দেশের মানুষেকে শত্রুমুক্ত করে ছাড়বো। তার এ ধরনের উৎকণ্ঠিত ভাষণ ওটা বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে।
১৯৬৯ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি বাংলার দুঃখী মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলার দুঃখী মানুষকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন তেমনি বাংলার প্রতিটি মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউ তাদের নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসতেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বর্তমানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী লক্ষ জনতার সম্মুক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি দেওয়া হয়। আর এই উপাধিটি দিয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ। আর এই দিনে হাজারো বাঙ্গালী স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল তিনি যেমন বাঙালি জাতিকে ভালোবেসে গিয়েছেন তেমনি বাঙালি জাতি তাকে ভালোবাসে বঙ্গবন্ধু উপাধিটি দিয়েছিলেন।
প্রত্যেকটি জাতির প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট ইতিহাস থাকে। ইতিহাস কখনো রাতারাতি সৃষ্টি হয় না ইতিহাসের পেছনে অনেক কাহিনী থাকে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা থাকে। আর এই ইতিহাসের পিছনে লুকিয়ে থাকে একটি মহান নেতৃত্বের কথা মহান ব্যক্তির কথা। আর এই মূল নেতৃত্ব কারী ছাড়া কখনোই একটি দেশের সফলতা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি দেশের একটি করে নেতৃত্বদানকারী রয়েছে আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনেও যে ব্যক্তির অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি আর কেউ নয়, জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও অনেক ঘটনা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে আর এই স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। যা বাংলার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করে থাকি। তাছাড়া আপনারা যারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে আগ্রহী আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি।