আসরের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হয়

প্রত্যেকটি মুসলমান নর-নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। মুসলমানরা দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে নিজের নৈকট্য অর্জন করার চেষ্টা করে। নামাজ শব্দটি সরাসরি কুরআনে ৮২ বার উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজের মাধ্যমেই একজন মুসলমান পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে সক্ষম হয়।

আপনারা অনেকে আসরের নামাজ কয় রাকাত পড়াটা উত্তম আসরের কয় রাকাত নামাজ পড়তে হয় ইত্যাদি এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে আসছেন, তাই এসব প্রশ্ন সঠিক উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে আপনারা আমাদের এখান থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে যাবেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আসরের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে আসরের নামাজ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে আসরের নামাজটি অন্যতম একটি নামাজ। আসরের ফরজ নামাজ ৪ রাকাত তবে কেউ কেউ আছে যারা ফরজ নামাজের আগে সুন্নাত ৪ রাকাত নামাজ পড়ে। এই সুন্নাত নামাজ সহ আসরের নামাজ ৮ রাকাত। ধারাবাহিকতার সাথে প্রত্যেক নামাজ আদায় করতে হয়। আসরের নামাজের ধারাবাহিকতা রয়েছে। প্রথমে চার রাকাত সুন্নত নামাজের মাধ্যমে আসরের নামাজ শুরু করতে হয় তারপরে ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সহিত চার রাকাত নামাজ আদার মাধ্যমে মোট আট রাকাত নামাজ আসরের ওয়াক্তে পড়তে হয়।

চার রাকাত সাধারণত প্রত্যেকটি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে একটি করে যে কোন একটি সূরা পাঠ করতে হবে এবং দুই রাকাত নামাজের শেষে বৈঠকের মাধ্যমে আবার দুই রাকাত পড়ে মোট চার রাকাত নামাজ পড়ে সুন্নত নামাজ শেষ করতে হবে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই এই নামাজ পড়ে না এটার কোন বাধ্যবাধকতা নেই আপনি পড়লে অশেষ ছোয়াবের অধিকারী হবেন কিন্তু গুনাহ হবে না। এই চার রাকাত নামাজের বিশেষ ফজিলত রয়েছে আমাদের নবী এই চার রাকাত নামাজ কখনো ছাড়েননি বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া এই চার রাকাত নামাজ তিনি আদায় করতেন।

আসরের সুন্নত নামাজের পরে যে চার রাকাত ফরজ নামাজ ইমামের সঙ্গে জামাতের শহিদ পড়তে হবে সেই চার রাকাতের ক্ষেত্রে পেছনে যারা দাঁড়িয়ে থাকবে তারা শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করবে আর ইমাম সাহেব প্রথম দুই রাকাত সুরা ফাতেহা পাঠের পর অন্য সূরা পাঠ করবে আর পরের দুই রাকাত শুধু সূরা ফাতেহা পাঠ করে আসরের ফরজ নামাজ শেষ করবে। প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে নিয়ত থাকতে হবে তাই নামাজের ক্ষেত্রেও একটি নিয়ত রাখতে হয়, তাই আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে নিয়ত করাটা অতীব জরুরী। নিয়তটা এমন হতে পারে আমি কেবলামুখী হইয়া আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার জন্য দারাইলাম।

আসর নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ ফজরের সময় মানুষ ঘুমে থাকেন, আসরের সময় পেশাজীবীরা কর্মব্যস্ত থাকেন। আর অন্যরা চিত্ত বিনোদনে ব্যস্ত থাকেন। তাই এ সময়টিতে নামাজ আদায় করা অনেকের জন্য কষ্টকর।আসর নামাজের ওয়াক্ত এমনিতেই খুব কম। সময় শেষ হয়ে গেছে- ভেবে শেষ মুহূর্তে অনেকেই তাই নামাজ পড়েন না। আবার অনেকেই ওয়াক্ত শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে নামাজ পড়া মাকরূহ বলে থাকেন। মূলত কেউ যদি নির্ধারিত ওয়াক্তে এক রাকাআত পরিমাণ নামাজ পড়ার সময় পান, তবে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

সময় সঙ্গে সঙ্গে যে কোন ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা অত্যন্ত ফজিলত। কিন্তু কোন কারণবশত বা কাজে ব্যস্ত থাকলে পরবর্তীতে যে কোন সময়ে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তবে আসরের নামাজের ক্ষেত্রে অতি দ্রুত নামাজ আদায় করাটা উত্তম একটি কাজ। জোহরের সময় শেষ হলেই আসরের সময় শুরু হয়। কোনো বস্তুর ছায়া সমপরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়। আর তা সূর্য ডোবার বা অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত আসরের নামাজের সময় থাকে।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা শুরু থেকে শেষ অবধি আসরের কয় রাকাত নামাজ এই প্রসঙ্গে আলোচনা করলাম, আপনারা যারা আসরের কয় রাকাত নামাজ পড়াটা উত্তম ,আসরের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে এসব প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আপনাদের জন্য আমাদের এখানে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি প্রদান করলাম। তাছাড়া আসরের নামাজ সম্পর্কে যে কোন তথ্য অজানা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপনাদের তথ্যটি জানানো সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *