আরাফা দিবস কত তারিখে পালিত হয়

ইসলাম ধর্মের একটি পবিত্র দিন হল আরাফা দিন। ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ লাভের জন্য এই দিনটি ইসলাম ধর্ম বেশ পরিচিত। আমাদের মধ্যে অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। তাই তারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আরাফা দিবস কত তারিখে পালিত হয়। আপনারা যারা এই বিষয় টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচ না করব। তাই আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অবধি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনার না জানা এই বিষয়টি সম্পর্কে। চলুন তাদের দেরি না করে জেনে নেই আরাফা দিবস কত তারিখে পালিত হয়।

আরাফা দিবস মুসলমানদের ওপর আল্লাহর দ্বীন ও নেয়ামত পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির দিবস হিসেবে পরিচিত। আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিবস আরাফা দিবস। আল্লাহ তাআলা, আরাফা দিবসে, তাঁর বান্দাদের কে সবচেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। আরাফার দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা সৌদি আরবের আরাফাতের ময়দানে একত্র হচ্ছে সমবেত হয়।এ দিনে মুসলমান বান্দাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের প্রাপ্তি ও বিগত দিনের গুনাহ গুলো থেকে মুক্তি দানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আরাফার দিনে আরাফাতের ময়দানে নবীজি (সা.) ওপর কোরআনুল কারি মের সর্বশেষ আয়াত নাজিল করে দ্বীনকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। আর সেটি হলো সূরা মায়েদার তিন নং আয়াত।

আরাফাত দিবসকে ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র ও তাৎপর্য পূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে আরবি মাসের জিলহজ মাসের ৯ তারি খে আরাফার দিবসটি পালিত হয়। যে দেশে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হবে সেই দেশে আরাফার দিন সেটি হবে। আরাফাত ময়দান সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। আরাফাত এই অবস্থান কারণে এই দিনটি আরাফার দিনটি বলা হয় না। তাই প্রত্যেক টি মুসলমান নিজ নিজ দেশে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফার দিবস টি পালন করতে পারবে। এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হযরত ইব্রাহিম ৮ই জিলহজ রাতে তার প্রিয় ও একমাত্র পুত্র জবাই করে কুরবানী দিতে হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে। তারপর ৯ জিলহজ থেকে এই আরাফা দিবসটি পালন হয়।

আরেকটি হিসাব করলে আপনারা খুব সহজে বুঝতে আরাফার তারিখ টি সম্পর্কে। আরাফা দিনটি সাধারণত রমজান মাস শেষ হওয়ার ৭০ দিনের মাথায় এই দিবসটি পালন হয়ে থাকে। আরাফা দিবসের রোজা পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের মাফ হয়ে যায়। আরাফার এই দিনে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা স্বীকৃতি লাভ ও বিশ্ব মুসলিমদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতের পরিপূর্ণ এক প্রাপ্ত দিন হল আরাফার এই দিনটি। আরাফার সিয়াম সম্পর্কে হাদিসে এসেছে এই সিয়াম এর ফজিলত অনেক বেশি তাই পারতপক্ষে প্রত্যেকটি মুসলমানকে এই আরাফার দিনের সিয়াম পালন করাটা উচিত। আরাফার এই দিনে বান্দদের মধ্যে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্তি দান করেন।

আপনারা যারা আরাফা দিবস কত তারিখে পালিত হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন। তাছাড়া ইসলামিক যে কোন বিষয়ে সম্পর্কে জানতে হলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *