আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের পরিমাপ করতে হয়। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু হয় জীবনে পরিমাপের বিষয়গুলি। এবং সারাদিন ধরে চলে পরিমাপ। কতখানি হাঁটলাম, বাজারে গিয়ে কতখানি দ্রব্য ক্রয় করলাম, ইত্যাদি সবসময় চলতে থাকে শুধু পরিমাপ আর পরিমাপ। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত পরিমাপ সম্পর্কে তাদেরকে ভালো ধারণা রাখা। পরিমাপ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখলে সে ব্যক্তি অনেক কিছুতেই চলতে পারবে ভালোভাবে। কারণ সকল ক্ষেত্রেই আমাদের পরিমাপ করতে হয় নানা রকম দ্রব্যের বস্তুর জিনিসের। আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ শিক্ষার্থীদের জন্যও নানা বিষয়ের উত্তর দেওয়া থাকে।
তাই শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক উভয়ের জন্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটটি প্রয়োজনীয় একটি ওয়েবসাইট। সকলের জন্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা থাকে। তাই যে ব্যক্তির যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন সে ব্যক্তির সেই তথ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্যগুলি ডাউনলোড করেও নেওয়া যায়। যদি কোন ব্যক্তির এই তথ্য ডাউনলোড করে নিতে হয় তাহলে তারা সেটি নিতে পারবে। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রশ্নের উত্তর বা তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন চার্জের প্রয়োজন হয় না। তাই চাইলেই আপনারা নিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি।
যেহেতু বিভিন্ন পদার্থের আয়তন বের করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি রয়েছে তেমনি ক্ষেত্রফল এবং ঘনফল নির্ণয়ের জন্য পরিমাপ দ্বারা পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। দুই ধরনের পরিমাপ আমাদের দেশে প্রচলিত আছে, একটি দেশীয় পরিমাপ আরেকটি ব্রিটিশ এবং আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি। এই দুই ধরনের পরিমাপ সম্পর্কেই আমাদের আসলে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ দৈনন্দিন জীবনে প্রচলিত পরিমাপকের সাহায্যে আমরা পরিমাপ করে থাকি এবং সেই পরিমাপটি কোন ধরনের, দেশীয় না ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক রীতিতে পরিমাপ করা হচ্ছে সেটি আমাদের অবশ্যই বুঝে নিতে হবে।
যেকোনো গণনায় আমাদের পরিমাপের একক জানা প্রয়োজন। গণনার জন্য একক হচ্ছে প্রথম স্বাভাবিক সংখ্যা ১। ক্ষেত্রফল পরিমাপের ক্ষেত্রে এক একক দৈর্ঘ্যের বাহু বিশিষ্ট একটি বর্গাকার ক্ষেত্রকে একক ধরা হয়। একে এক বর্গ একক বলে। তেমনি ভাবে এক একক দৈর্ঘ্যের বাহু বিশিষ্ট একটি ঘনকের ঘনফলকে এক ঘন একক বলে। সকল ক্ষেত্রেই এককের মাধ্যমে গণনায় বা পরিমাপের সম্পূর্ণ পরিমাপের ধারণা লাভ করা যায়। আজ আমাদের দেখাতে হবে এক স্কয়ার ফিট সমান কত ফুট। আমরা জানি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ গুণ করলে বর্গ একক হয়।
তেমনিভাবে এক ফুট এবং ১ ফুট গুন করলে এক স্কয়ার ফুট বা বর্গফুট হয়ে থাকে। তাহলে আমরা বলতে পারি দুইটি ফুট গুন করলে একটি বর্গ ফিট বা স্কয়ার ফিট হয়। এটিকে আমরা গাণিতিকভাবে দেখালে দেখতে পাই যে
১ স্কয়ারফিট=১×১ বর্গফুট
১ বর্গফুট=১×১ স্কয়ার ফুট।
তাহলে আমরা দেখতে পাই আসলে এক স্কয়ার ফিট সমান ১×১ বর্গফুট। তাহলে দেখা যায় যে বিভিন্ন দেশে পরিমাপের জন্য বিভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি প্রচলিত থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা গুলি দূর করার জন্য একই ধরনের পরিমাপ পদ্ধতি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক রীতি তথা ম্যাট্রিক পদ্ধতির ব্যবহৃত হয়। এই পরিমাপের বৈশিষ্ট্য হল এটা দশ গুণোত্তর।
সেই কারণে দশমিক ভগ্নাংশের দ্বারা এই পদ্ধতিতে পরিমাপ সহজে প্রকাশ করা যায়। এই পদ্ধতিটি প্রথম শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে। এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে মেট্রিক পদ্ধতি। এই মেট্রিক পদ্ধতি আমাদের বাংলাদেশে পহেলা জুলাই ১৯৮২ সাল থেকে চালু করা হয়। তার পূর্বে অবশ্য আমাদের দেশে দেশীয় রীতি এবং ব্রিটিশ পদ্ধতি চালু ছিল। এখন দৈর্ঘ্য, ক্ষেত্রফল, ওজন, তরল পদার্থের আয়তন, প্রতিটি পরিমাপেই এই পদ্ধতি পুরোপুরিভাবে প্রচলিত আছে
