১ মণ সমান কত কেজি

১ মণ অর্থাৎ দেশীয় রীতির একটি পরিমাপকের একক। আমাদের দেশে ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত মণ, সের, ছটাক পোয়া ইত্যাদি দেশীয় রীতিতে ওজন অর্থাৎ ভরের একক পরিমাপ করা হতো। এই মণ, সের, ছটাক, পোয়া, তোলা সম্পর্কে আমরা অত্যন্ত পরিচিত। কারণ আমাদের কৃষি প্রধান দেশে এই দেশীয় রীতিতে সব সময়ই প্রায় বাড়িতেই বিভিন্ন ফসলের ওজন পরিমাপ করা হতো ।আজ আমাদের দেখাতে হবে দেশীয় রীতির এক মণ সমান আন্তর্জাতিক রীতিতে অর্থাৎ মেট্রিক পদ্ধতিতে কত কেজি হতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনারা ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থাকে। এবং বর্তমান বিশ্বের সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি দেওয়া থাকে।

যদি কারো আমাদের এই তথ্য গুলির প্রয়োজন হয় তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবে। এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যেতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আলাদা কোন অর্থ খরচ হয় না। তাই যে কেউ আমাদের ওয়েবসাইটের পছন্দের প্রশ্নের উত্তরগুলি অথবা হিসাবের তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবে কোন ঝামেলা ছাড়াই। এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে নিচে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে সেখানে দেখানো লিংকে ক্লিক করে সে তার পছন্দের অথবা কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

বিভিন্ন দেশে পরিমাপের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাপ পদ্ধতি প্রচলিত থাকায় আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও আদান-প্রদানে বেশ অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে প্রথম একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। এই পদ্ধতির নাম মেট্রিক পদ্ধতিতে পরিমাপ করা। ব্যবসা-বাণিজ্য ও আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে পরিমাপ করার জন্য আন্তর্জাতিক রীতি তথা ম্যাট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এই পরিমাপের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এই বৈশিষ্ট্য গুলি হল এটা দশ গুণোত্তর। দশমিক ভগ্নাংশের দ্বারা এই পদ্ধতিতে পরিমাপ সহজে প্রকাশ করা যায়। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে অসুবিধা দূর করার জন্য আমাদের বাংলাদেশ সরকার ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাই বাংলাদেশ মেট্রিক পদ্ধতি চালু করে।

এখন আমাদের দেখাতে হবে এক মণ সমান কত কেজি হয়। তাহলে চলুন দেখা যাক এক মণ সমান কত কেজি
১ মণ =৩৭.৩২৪ কেজি(প্রায়)
যদিও আমরা বলে থাকি একমণ সমান ৪০ কেজি। কিন্তু আসলে কেজির পরিমাপ এবং সেরের পরিমাপ এক নয়। কেজি ম্যাট্রিক পদ্ধতির পরিমাপের একক এবং সের দেশীয় রীতির পরিমাপের একক। তাই দুই ওজনের বা ভরের এককের বিস্তর পার্থক্য আছে। আমরা মেট্রিক পদ্ধতির একক কে দেশীয় রীতির এককের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছি এই কারণে আমরা বলে থাকি চল্লিশ কেজি সমান এক মণ হয়।
তবে ১৯৮২ সালের পহেলা জুলাইয়ের পূর্বে আমাদের দেশে দেশীয় রীতিতে পরিমাপ করা হতো। মেট্রিক পদ্ধতিতে ওজন পরিমাপের জন্য একটি একক আছে।

এই পদ্ধতির পরিমাপের একক হল গ্রাম। কম ওজনের বস্তুকে গ্রামে পরিমাপ করা হয়। এবং বেশি ওজনের বস্তুকে কিলোগ্রাম বা কেজিতে প্রকাশ করা হয়। তাহলে আমরা এখন দেখলাম এক মণ সমান ৩৭.৩২৪ কেজি (প্রায়)। তাই দেশীয় রীতিতে সের এবং কেজি এক সমান না হওয়ার কারণে এই পার্থক্য দেখা দেয়। তাই আমরা কেজি এবং সেরকে একই সমান কখনোই ভাবতে পারবো না।তাহলে আমরা এখন দেশীয় একক এবং আন্তর্জাতিক একক দুই ধরনের ভরের এককের সঙ্গে একটি মেলবন্ধন করে দিলাম। এখন আর আমরা অবশ্যই ১ মণ সমান ৪০ কেজি বলবো না, ৪০ সের সমান এক মণ এটা আগেকার দেশীয় রীতির পরিমাপ ছিল। বর্তমানে মেট্রিক পদ্ধতিতে এসে এটি পরিবর্তন হয়েছে। আপনারা এ ধরনের আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্যটি আপনি পেতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *